‘কোটায় খেলে’, ‘লর্ড’ আরও কত বিশেষণ তার নামের পাশে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ট্রল-সমালোচনা করা হয়েছে তাকে নিয়ে। চুপ থাকতে থাকতে একবার অভিমান করে বলেই ফেলেছিলেন, গোটা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে হয় আমাকে।  এতক্ষণে হয়তো ধরে ফেলেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন টাইগার এ বাঁহাতি ওপেনার। এবার তার হাত ধরেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাওয়াশের মহাকাব্য লিখলো বাংলাদেশ। সিরিজজুড়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে সিরিজসেরার পুরস্কারও জিতলেন সেই শান্ত। 

নিজেকে বদলে ফেলার শুরুটা হয়েছিল সর্বশেষ বিপিএল দিয়ে। বিদেশি এবং দেশি ব্যাটারদের টপকে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক এবং টুর্নামেন্টসেরা হয়েছিলেন শান্ত। যদি তা নিয়েও টিটকারি কম হয়নি। জাতীয় দলে আসলেই যেইসেই হয়ে যাবে এমন কটু কথাও শুনতে হয়েছে তাকে।

তবে সব সমালোচনা আর ট্রলের জবাব দিয়েছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে স্বপ্নের মতো সময় কাটছে তার। ব্যাট হাতে যেমন প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধুনো করছেন, তেমনি ফিল্ডিংয়েও দারুণ কার্যকর। যেখানে বল সেখানেই দেখা মেলে শান্তর। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বলতে গেলে একাই দলকে টেনেছিলেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। সদ্য সমাপ্ত সিরিজটিতে ১৪৪ রান করেছেন শান্ত। তিন ম্যাচেই তার ব্যাট হেসেছে দারুণভাবে। প্রথম ম্যাচে করেছেন ম্যাচজয়ী অর্ধশতক। বাকি দুই ম্যাচেও ছিলেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত। সিরিজে মাত্র একবার তাকে আউট করতে পেরেছেন ইংলিশ বোলাররারা। 

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশের দিনেও ৩৭ বলে ৪৬ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন শান্ত। এর প্রতিদানই পেলেন শেষ পর্যন্ত। জিতে নিলেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। 

এফআই