রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্ষেত্র হলেও হর-হামেশাই মাঠে হাজির হয়ে যায় দেশীয় দ্বৈরথ। পাকিস্তান-ভারতের ম্যাচ থাকলে তো কথাই নেই। তবে ক্রিকেটাররা পেশাগত আচরণ ধরে রাখলেও মাঠে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রচ্ছন্ন ছাপ ঠিকই ফুটে ওঠে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় রসায়ন দেখা যেত শচীন টেন্ডুলকার ও শহীদ আফ্রিদিদের মধ্যে। তাদের ম্যাচ মানেই মিডিয়া পাড়ায় তুমুল তোড়জোড়। অবসর নেওয়া সেসব ক্রিকেটাররা কাতারে অনুষ্ঠেয় একটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। সেখানেই শহীদ আফ্রিদি আলোচিত এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছেন।

সাবেক এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার এশিয়া লায়ন্স টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার সখ্যতার বিষয় আগেও সামনে এসেছিল। এবার সে দেশেরই এক সমর্থক আফ্রিদির কাছে ধর্না দেন। দুবাইয়ে তার দলের ম্যাচ শেষে ওই সমর্থক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের স্বাক্ষর চান। পরে তার হাতে থাকা ভারতের একটি পতাকায় স্বাক্ষর করেন সাবেক এই পাক অধিনায়ক।

পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে সেই ভিডিও পাকিস্তান ক্রিকেটের এক অফিসিয়াল পেইজ থেকে টুইটারে শেয়ার করা হয়। এরপরই এই ঘটনায় দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ তার এই ভারত-প্রীতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তো, আবার কেউ আফ্রিদিকে নিয়ে মেতে উঠেছেন তীব্র সমালোচনায়।

আফ্রিদি ভারতীয় সমর্থকদের মন জয় করে নিলেও, পাকিস্তানের সমর্থকরা খোঁচা দিতে ছাড়েননি নিজ দেশের ক্রিকেটারকে। কিন্তু আফ্রিদি তাতে পাত্তা দেননি। তবে এ বিষয়ে মুখও খোলেননি তিনি।

লিজেন্ড ক্রিকেট লিগে আফ্রিদির এশিয়া লায়ন্সে খেলছেন তারই স্বদেশী মিসবাহ-উল-হক, আব্দুল রাজ্জাক ও মোহাম্মদ হাফিজের মতো ক্রিকেটাররা। এমনকি দলে আছেন বাংলাদেশের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক এবং লঙ্কান ক্রিকেটার তিলেকরত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গা। এখন পর্যন্ত ওই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস, যে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। সেই দলে রয়েছেন মন্টি পানেসর, শেন ওয়াটসন, অ্যালবি মর্কেলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।

এএইচএস