ছবি: সংগৃহীত

আসরে যেকয়টা ম্যাচ খেলেছেন সবগুলোতেই মিথব্যায়ী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে কিপটে বোলিংয়ের সঙ্গে উইকেটের দেখাও পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই স্পিনার। মূলত তার ঘূর্ণিতেই ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে অল্প রানের মধ্যেই আটকে দেয় এশিয়ান লায়ন্স। বাকি কাজটুকু ঠিক-ঠাকমতই করেছেন ব্যাটাররা। ফলে ৭ উইকেটের বড় জয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে এশিয়া। লায়ন্সদের এই জয়ের নায়ক বাংলাদেশের রাজ্জাক।

ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের ৪ উইকেটে ১৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে এশিয়া লায়ন্স ১৬.১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে এশিয়ান লায়ন্স।

ওয়াল্ড জায়ান্টসের হয়ে মর্নি ভ্যান উইককে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন লেন্ডসল সিমন্স। এশিয়ার হয়ে বোলিং শুরু করেন আব্দুর রাজ্জাক। এই স্পিনারের করা প্রথম ওভার থেকে ৩ রান সংগ্রহ করতে পারে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে উইকেটের দেখা পান রাজ্জাক। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন মর্নি ভ্যান উইক। ৭ বল খেলেও আরনের খাতা খুলতে পারেননি মর্নি। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস ৯ রানে ১ উইকেট হারায়।

তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন শেন ওয়াটসন। এই ব্যাটারকে দুই বলের বেশি উইকেটে থাকতে দেননি রাজ্জাক। একই ওভাররের পঞ্চম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ওয়াটসনকে ফিরিয়েছেন এই বাংলাদেশি স্পিনার। আর তাতে  ৯ রানে ২ উইকেট হারায় জায়ান্টসরা। 

নবম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে আসেন রাজ্জাক। যেখানে মাত্র ২ রান খরচ করেন তিনি। তাতে ৯ ওভার শেষে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৪ রান। রাজ্জাক তার কোটার ৪ ওভার বোলিং করে ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন।

রাজ্জাক ফাইনাল সেরা হলেও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন উপল থারাঙ্গা। ৬ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে সব থেকে বেশি ২২১ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। যেখানে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করছেন এই লঙ্কান।

এইচজেএস