এবার বেশ আটঘাট বেঁঁধেই নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর ক্যাম্প করতে হাতে সময় নিয়ে যায় টাইগাররা। প্রস্তুতি পর্বে কোনো ঘাটতি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় ২০ সদস্যের স্কোয়াডে পেসারদের আধিক্য। সেখানে গিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা বেশ ভালোভাবেই সেরেছেন তাসকিন আহমেদরা। তবে শনিবার প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হারা ম্যাচে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাননি সফরকারী দলের বোলাররা।

ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে পেসার তাসকিন বলছিলেন, ‘আমরা ব্যাট হাতে ভালো শুরু করতে পারিনি। ২৬০-২৭০ রান করলে ভিন্ন চিত্র হতে পারত। কিন্তু ততটা ভালো ব্যাটিং আমরা করতে পারিনি। এই রান নিয়ে কিছুই করার নেই আসলে। ২৬০-২৭০ রান করলে আমরা ভালো লড়াই করতে পারতাম।’

করোনার পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামে যে দুটি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে, সেখানে বেশ ভালো করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় একাধিক পেসারের সঙ্গে কয়েকজন স্পিনারও নিয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। 

মাঠের লড়াইয়ের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে টাইগার বোলারদের শাসন করতে থাকেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পাননি তাসকিনরা।

ম্যাচ শেষে তাসকিন জানান, ‘আমাদের বোলাররা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল। এখানে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইন শেষেও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। বাকি ম্যাচগুলো ভালো করার আশা রাখতে পারি। নিউজিল্যান্ডে ভালো করা সবসময়ই কঠিন। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা দল, বিশেষ করে ঘরের মাটিতে।’

টিআইএস/এটি/এমএমজে