তামিম-মিঠুনে ডানেডিন দুঃস্বপ্ন ভুলল বাংলাদেশ
লড়াকু পুঁজির ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল/ছবি: গেটি ইমেজ
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২৭১/৬, ৫০ ওভারে (তামিম ৭৮, সৌম্য ৩২, মুশফিক ৩৪, মিঠুন ৭৩*, রিয়াদ ১৬; স্যান্টনার ৫১-২, হেনরি ৪৮-১, বোল্ট ৪৯-১, জেমিসন ৩৬-১)
ব্যাটিংকে বাংলাদেশ দেখে ‘গর্বের’ জায়গা হিসেবে, বলেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ওয়ানডেতে ডানেডিনে সেই ব্যাটিংই কিনা, দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভারে সে দুঃস্বপ্ন ভুলেছে বাংলাদেশ। তামিম আর মিঠুনের অর্ধশতকে লড়াকু ২৭১ রানের পুঁজি পেয়েছে তামিম ইকবালের দল।
বিজ্ঞাপন
তবে শুরুটা চোখ রাঙানি দিচ্ছিল দিন দুয়েক আগের সে দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তির। প্রথম ওয়ানডেতে টপ-মিডল অর্ডারের প্রায় সবাই আত্মাহুতি দিয়ে ফিরে এসেছিলেন প্যাভিলিয়নে। মঙ্গলবার সকালেও লিটন ফিরলেন উইকেটটা ম্যাট হেনরিকে বিলিয়ে দিয়ে। দলের সংগ্রহ তখন চার রান, শর্ট মিড উইকেটে উইল ইয়ংকে রেখে শর্ট বল করেছিলেন লিটনকে। বাংলাদেশ ওপেনারও পা দিলেন ফাঁদে, সহজ ক্যাচ দিলেন পুল করতে গিয়ে।
এরপর সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ইনিংস গড়ার কাজে লেগে ছিলেন। শুরুর বল মুভমেন্টকে সামলাচ্ছিলেন দুজনে ঠাণ্ডা মাথায়। এরপর সৌম্যও হাঁটলেন লিটনের পথে। মিচেল স্যান্টনারের বলে বেরিয়ে এলেন উইকেট ছেড়ে, স্ট্যাম্পড হয়ে ফিরলেন। তবে তামিম ছিলেন ধীরস্থির, ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে। দুবার আউট হয়েছিলেন বটে, প্রথমবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন রিভিউ নিয়ে, পরেরবার কাইল জেমিসনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন, সেবারও আম্পায়ার রিভিউই রক্ষা করেছিল তাকে। এরপর ৮৫ বলে ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গড়েন ৫০তম পঞ্চাশের কীর্তি।
বিজ্ঞাপন
তবে শেষটা বেশ ট্র্যাজিক হয়েছে তার। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় জিমি নিশামের পায়ের দারুণ এক কারিকুরিতে রানআউট হন তিনি। এরপরের গল্পটা কেবল মিঠুনের। তামিমদের তৈরি করে দিয়ে যাওয়া ভিতে মিঠুন খেলেছেন ৫৭ বলে ৭৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদিদের। ফলে বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ২৭১ রানের বড় পুঁজি নিয়ে। তবে আক্ষেপও আছে বৈকি! মাঝে মুশফিক যদি খোলসে ঢুকে না যেতেন, সংগ্রহটা আরও বড়ও যে হতে পারতো!
এনইউ/এটি