তামিম ইকবাল/ইএসপিএন ক্রিকইনফো

ইনিংসের তখন ১৫তম ওভার চলছে। ৩৪ রানে ব্যাট করা তামিম ইকবাল ফিরতি ক্যাচ দিলেন কাইল জেমিসনকে। নিচু ক্যাচ হওয়ায় সিদ্ধান্ত গেল তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। ‘সফট সিগন্যাল’ আউট থাকলেও সে যাত্রায় বেঁচে ফেরেন তামিম। তাতে বিতর্কও সৃষ্টি হয় বেশ। 

তামিম যখন ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন, ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার জেমিসন ফলো থ্রুতেই দুই হাতে ধরে ফেলেন সেটা। তবে নিচু ক্যাচ হওয়ায় মোমেন্টামের কারণেই পড়ে যান মাটিতে। তাতে অন ফিল্ড আম্পায়ারেরও মনে হয়েছিল তামিম আউট। তবু সিদ্ধান্তটা পাঠান তৃতীয় আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির কাছে, তবে সফট সিগন্যাল ছিল আউটই।

রিপ্লেতে দেখা যায়, ক্যাচটা ঠিকঠাক নিলেও জেমিসন ঝামেলা পাকিয়েছেন ফলোথ্রুতে। যখন মাটিতে পড়েছিলেন, বলটা ছিল তার ডান হাতে। উদযাপনের জন্য উঠে দাঁড়ানোর সময়ই সৃষ্টি হলো বিপত্তি, বলটা ছুঁয়ে গেল মাটি।

তবে জেমিসনের মনে উইকেট নিয়ে কোনো সন্দেহই ছিল না। সেটা স্পষ্ট ছিল তার উদযাপনেই। তৃতীয় আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির মনে হয়েছিল অন্য কিছুই, বোলার ছিলেন না পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ক্যাচ নেওয়ার পর পিচের ছোঁয়া লেগেছে বলে, এ কারণেই তামিম বেঁচে যান ক্যাচ দিয়েও। 

এমসিসির নিয়মের ৩৩.৩ ধারায় বলা আছে, ‘ক্যাচের সময়টা শুরু হবে যখন বল ফিল্ডারের হাতে আসবে। আর শেষ হবে যখন বল আর মুভমেন্ট দুটোই ফিল্ডারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’ প্রথমটা থাকলেও দ্বিতীয়টায় ঘাটতি ছিল জেমিসনের। এ কারণেই আম্পায়ার গ্যাফানি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তামিমের পক্ষে।

এ নিয়মটা এমসিসির ই-লার্নিং ওয়েবসাইটে আরও বিষদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘যখন খেলোয়াড়রা ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেবেন, তখন মাটিতে নামার আগ পর্যন্ত যদি নিজেদের মুভমেন্ট আর বলের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না থাকে’ তাহলে আউট বলে গণ্য হবে না চেষ্টাটা।

হ্যাগলে ওভালের জায়ান্ট স্ক্রিন যখন সিদ্ধান্তটা দেখায়, জেমিসনের অসন্তোষ আর অবিশ্বাসটা তখন স্পষ্টই ছিল। উইকেটের মূল্যটা যে ছিল বেশ!

এনইউ/এটি