মিঠুন যে পজিশনে খেলে, ভালো করা সহজ না : তামিম
২০১৪ সালে বাংলাদেশ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও এই সাত বছরে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি মোহাম্মদ মিঠুন। শেষ কয়েক বছর ধরে দলে ডাক পেলেও একাদশে সুযোগ মেলে না তার। দলের নিয়মিত কেউ না থাকলে মাঠে নামতে পারেন মিঠুন। সাকিব আল হাসান না থাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে হারলেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
২৮ ওয়ানডে খেলে এর আগে ৫টি অর্ধশতক থাকলেও নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি মিঠুন। আজ (মঙ্গলবার) কিউইদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মিঠুন জানিয়েছিলেন, ম্যাচ জিততে গেলে ব্যাটসম্যানদের ভালো করা লাগবে। তবে এদিন ব্যাটসম্যানরা রান পেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেনি। এই ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। ম্যাচ হারলেও অধিনায়কের প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তামিম ইকবাল বলেন, ‘অবশ্যই ও (মিঠুন) অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছে। কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে আজ সে ভালো খেলেছে বলে ওর ব্যাপারে কথা বলছি। কিন্তু ও যে পজিশনে খেলে বা যে অবস্থায় খেলে, এটা আসলে সহজ না। যতই স্ট্যাবলিস ক্রিকেটার হোক না কেন তার সঙ্গেও যদি এরকম হয় ব্যাপারটা তার জন্য কঠিন হবে।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘দেখেন জিম্বাবুয়ের সাথে ও সুযোগ পেয়েছিল এবং দু-তিনটিতেই ভালো খেলেছিল। এরপর উইন্ডিজের সঙ্গে সাকিব ফিরে আসায় তিনটি ম্যাচেই সে খেলেনি। আবার এখানে এসে সে খেলছে। এরকম অবস্থায় যে কোন ব্যাটসম্যানের জন্য ভালো খেলা কঠিন। তাই আমি খুব খুশি যে ও এরকম একটা ইনিংস খেলেছে এবং আশাকরি দ্রুত একাদশে নিজের জায়গাটা পাকা করে নিতে পারবে।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাচে মিঠুনের সঙ্গে রান পেয়েছেন তামিম নিজেও। ওপেন করতে নেমে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে অনায়াসেই তিন অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারতেন। তবে রান আউটের শিকার হন তামিম। নিজে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেও মিঠুনকে প্রশংসা বন্যায় ভাসাচ্ছেন তামিম।
তামিম বলেন, ‘আমি ফুল সেট ছিলাম। হিসাব করে ঝুঁকি নিচ্ছিলাম ৫০ রানের পর থেকে। রানও আসছিল। যখনই জুটিটা গড়ে উঠছিল তখনই একটা উইকেট পড়ে যাচ্ছিল। তারপরও মিঠুন যেভাবে ইনিংসটা খেলেছে আজকে তা সত্যিই দারুন। এইরকম কন্ডিশনে ভালো বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে সে চমৎকার ইনিংস খেলেছে।’
টিআইএস/এমএইচ