ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যেন ম্যাচ জয়ের কাজটা করে দিয়ে আসবেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা দায়িত্ব নিয়ে খেলবেন আর বাকিরা সাহায্য করতে মাঠে নামবেন! বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই সংস্কৃতি চলছে অনেকদিন ধরেই। এই রীতি থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ খালেদ মাহমুদ সুজনের।

কদিন আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেট ছিল ‘পঞ্চপাণ্ডব’ কেন্দ্রিক। সেখান থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার পথচলা প্রায় থমকে গেছে। বাকি চারজন দলের পুরো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সে চার পায়ের ওপর ভর দিয়েই যেন দাঁড়িয়ে আছে এদেশের ক্রিকেট। 

অথচ লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার (শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে নেই), মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা নাজমুল হাসান শান্তরাও অনেকদিন ধরেই আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ‘তরুণ’ তকমা আগেই ঘুচিয়েছেন। তারা কেন দলের দায়িত্ব সমানভাবে নিতে পারছেন না?

এবার শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে যাবেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ (শুক্রবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, এবার বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ অভিজ্ঞতা কম থাকলেও তারা নিজেদের ট্যালেন্ট আর স্কিল দেখিয়েই বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন।

সুজন বলেন, ‘আমরা সবসময় তামিম, সাকিব, মুশি, রিয়াদ এদের কথা বলি। অবশ্যই এদের দায়িত্ব অনেক। এরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। এরপর মুমিনুল অধিনায়ক। এদের অভিজ্ঞতা বেশি। তবে জুনিয়র খেলোয়াড়দেরও দায়িত্ব সমান থাকা উচিত। কারণ একটা ড্রেসিংরুম আমরা শেয়ার করি, একটা দলের জন্য আমরা ফাইট করি। আপনার যা আছে, একটা জুনিয়রের হয়তো সেই অভিজ্ঞতা নেই। তবে তাদের ট্যালেন্ট আছে, স্কিল আছে। সুতরাং সে সেটা নিয়েই ফাইট করবে, তার দায়িত্ব নিয়ে খেলবে।’

সুজন আরো যোগ করেন, ‘আমি চাই যে সবাই দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেট খেলুক। আর জেতা-হারা পরের ব্যাপার। যদি আমরা প্রসেস ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে জয় আসবে। প্রসেস ঠিক না থাকলে জয় আসা সহজ নয়।’

টিআইএস