চার উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং, কলকাতার ওপর শুরুর চাপটা সৃষ্টি করেছিলেন চাহারই/টুইটার

২৯ বলে ৩১। টি-টোয়েন্টির বিচারে, আইপিএলে তা কি খুব বেশি কিছু? সহজাত খেলাটা খেললেও তো ম্যাচটা বেরিয়ে আসে অনায়াসে! এ পরিস্থিতিতেই কিনা সাকিব আল হাসান ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলটা তুলে দিলেন আকাশে, ফিরলেন সূর্যকুমার যাদবের তালুবন্দি হয়ে। এরপর মারকুটে দিনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেলরাও ব্যর্থ হলেন। ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্স শেষমেশ ম্যাচটা হারল ১০ রানে।

অথচ শুরুটা কি দুর্দান্তই না ছিল কলকাতার! ইয়ন মরগানের টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তটাকে সঠিকই প্রমাণ করছিলেন বোলাররা। শুরুটা করেছিলেন হরভজন সিং। প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন তিন রান। 

শুরু থেকে চাপে থাকলেও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে সে চাপ কিছুটা হলেও সরিয়ে দিচ্ছিল মুম্বাই। সেখানেই বাঁধ সাধেন সাকিব আল হাসান। তার ধীরগতির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়েই থামে যাদবের ৩৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। 

এরপরের গল্পটা কেবল আন্দ্রে রাসেলের। মাত্র ২ ওভারে শিকার করেন ৫ উইকেট। তার তোপেই শেষের ঝড়টা আর তোলা হয়নি মুম্বাইয়ের। ২০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে রোহিত শর্মার দল করে ১৫২ রান।

জবাবে নিতিশ রানার ব্যাটিংয়ে সে লক্ষ্যটা মামুলিই মনে হচ্ছিল কলকাতার জন্য। নবম ওভারে রাহুল ত্রিপাঠি আর ১১তম ওভারে যখন অধিনায়ক মরগান রাহুল চাহারের শিকার হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, তখনো ১৫৩ রানের লক্ষ্যটাকে মনে হচ্ছিল নাগালেই। উইকেটে যে ছিলেন থিতু হয়ে যাওয়া রানা আর সাকিব!

চাহারের শেষ ওভারে কি বুঝে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে চার্জ করতে চেয়েছিলেন রানা, ব্যর্থ হয়ে ফেরেন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে। এরপরই যেন কেকেআর শিবিরে এল আরও বড় ধাক্কা। ওভার দুয়েক পর ক্রুনাল পান্ডিয়ার শিকারে পরিণত হন সাকিব। তখনো কলকাতার চাই ৩১ রান। এ রানটাও তুলতে ব্যর্থ হন কলকাতার দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কার্তিক ও রাসেল। ফলে কলকাতা ম্যাচটা হারে ১০ রানে। মাঝের ওভারগুলোয় চাপ সৃষ্টি করে চার উইকেট শিকার রাহুল চাহারকে এনে দেয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।

এনইউ