জুয়াড়িদের সাকিবের নম্বর দিয়েছিলেন স্ট্রিক?
স্ট্রিক ও সাকিব/ফাইল ছবি
জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিকের অধীনে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিংয়ে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গিয়েছিল। দারুণ সফলতা এনে দিলেও বাংলাদেশ দলে আরেক বিষবাষ্পও এনে দিয়েছিলেন তিনি। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটে জুয়াড়িদের আনাগোনা বাড়ে তার হাত ধরেই- এমনটাই জানা যাচ্ছে আইসিসির তরফে।
২০১৯ সালের অক্টোবরের ২৮ তারিখ আচমকাই এক ঝড়ের কবলে পড়ে বাংলাদেশ। জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ গোপন করার দায়ে নিষিদ্ধ হন তখনকার টেস্ট ও টি টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সাকিবের কাছের কেউই জুয়াড়ি দীপক আগরওয়ালকে দিয়েছিলেন সাকিবের নম্বর। সেখান থেকেই দু’জনের কথা চালাচালি হয় হোয়াটস্যাপে, আগরওয়াল জানতে চান বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কিছু তথ্য। এ ব্যাপারে আইসিসিকে না জানিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন সাকিব।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৪ এপ্রিল) আরেক বোমা ফাটায় আইসিসি। জানায়, ফিক্সিংয়ের কারণে বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিককে আট বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তার রায়ে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঠিক আগে অজ্ঞাতনামা এক জুয়াড়ি স্ট্রিকের কাছে বিপিএলের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্টদের নম্বর চান। স্ট্রিক তাকে জাতীয় দলের অধিনায়কসহ একাধিক বাংলাদেশী খেলোয়াড়ের নম্বর দেন। এখানেই শেষ নয়, স্ট্রিক সেই জুয়াড়ির নামে খেলোয়াড়দের কাছে সুপারিশও করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে তথ্য ফাঁস করার জন্য হিথ স্ট্রিক পান ৩৫ হাজার ডলার সমমূল্যের বিটকয়েন। সেই সিরিজেই আগরওয়ালের কাছ থেকে সাকিব প্রস্তাব পেয়েছিলেন ‘কাজের’। যদিও স্ট্রিকের রায়ের কোনো জায়গাতেই লেখা নেই আগরওয়ালের নাম, লেখা আছে ‘মিস্টার এক্স’ হিসেবে। কিন্তু সে সময়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও ঘটনাক্রম বিচারে ধারণা করা হচ্ছে, লোকটা ছিলেন দীপক আগরওয়ালই।
সেসময় বাকি ক্রিকেটাররা বোর্ডের কাছে আগরওয়ালের এ যোগাযোগের বিষয়টি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ফলে আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘন করেননি কেউ, নিষেধাজ্ঞাও পেতে হয়নি কাউকে। কিন্তু বিষয়টি গোপন করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন সাকিব। পরে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাকিব জানিয়েছিলেন, বিষয়টিকে তিনি নিয়েছিলেন ‘হালকাভাবে’।
এনইউ/এটি/জেএস