শেষের অপেক্ষায় আছে ২০২৩ সাল। ২৩ এ ২২ গজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছে বাংলাদেশ। বছরের শেষ দিনটায়ও মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাসরা। বছর শেষ হলেই যে তাদের ব্যস্ততা ফুরোচ্ছে তা কিন্তু না। বরং আরো বেশি ব্যস্ততা নিয়ে অপেক্ষা করছে ২০২৪।

বছরের শুরুতেই আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর ব্যয়বহুল ঘরোয়া আসর বিপিএল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আসন্ন আসরের সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া এই আসরের পর্দা নামবে পহেলা মার্চ।

বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সফরে আসার কথা শ্রীলঙ্কার। ফেব্রুয়ারী-মার্চে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।

এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি আছে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে তাদের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ থাকছে না।

জুনে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাওয়া এই আসরে আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। মূলত র‍্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি এই মেগা আসরে অংশ নিচ্ছে টাইগাররা।

জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। পাশাপাশি আফগানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও খেলবে টাইগাররা। এ সিরিজটি হতে পারে আরব আমিরাতে। আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু হিসেবে আপাতত সেখানেই ম্যাচ খেলে তারা।

আগস্ট সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে। কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নেই।

সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে টাইগাররা। তবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই।

অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সীমিত ওভারের কোনো ম্যাচ নেই।

নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। তাছাড়া ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও আছে।

এইচজেএস