ঘরের মাঠে খেলা। প্লে-অফের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে জয়টা খুব বেশি দরকার। এমন এক ম্যাচে এসে খানিকটা হতাশই করেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটাররা। ব্যতিক্রম বলা যায় কেবল তানজিদ তামিমকে। দলের হাল যেন একাই ধরে ছিলেন জাতীয় দলের এই তরুণ ব্যাটার। খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। তবে যোগ্য সঙ্গী পাননি তেমন কাউকে। 

দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম তাই টেনেটুনে চ্যালেঞ্জিং এক সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে বন্দরনগরীর দলটি ২০ ওভারে করেছে ১৫৯ রান। তানজিদ তামিম একাই করেছেন ৭০। ৪৮ রান এসেছে টম ব্রুসের ব্যাট থেকে। এই দুজনের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। 

চট্টগ্রামের ইনিংসের প্রথম বলেই এসেছে আঘাত। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সৈকত আলী। মারকুটে এই ব্যাটারের শুরুতেই বিদায় কিছুটা ধাক্কা হয়ে এসেছে চট্টগ্রামের জন্য। হতাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা জশ ব্রাউনও। উড়িয়ে খেলতে গিয়ে তাসকিনের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন তিনি। 

এরপর চট্টগ্রাম জুটি পেয়েছে টম ব্রুস এবং তানজিদ তামিমের কল্যাণে। ঢাকার বোলারদের দেখেশুনে খেলতে গিয়ে বল খেলেছেন প্রচুর। সে তুলনায় রানের চাকা ছিল কিছুটা মন্থর। জুনিয়র তামিম এদিন বল আকাশে ওড়াতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। ১ চারের বিপরীতে মেরেছেন ৬টি ছয়। সে তুলনায় অবশ্য গতি ছিল না তার ইনিংসে। 

টম ব্রুস ক্রিজে থিতু হয়ে খেলতে গিয়ে সময় ক্ষেপণ করেছেন। তিনিও রান দ্রুত তুলতে গিয়েই আউট হয়েছেন। উইলিয়ামসের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ নিয়েছেন সাব্বির। রোমারিও শেফার্ড আগেরদিন ঝড় তুললেও আজ করেছেন হতাশ। ৮ বলে করেছেন মোটে ৩। 

এরমাঝেই অবশ্য ফিফটি পেয়েছেন তানজিদ তামিম। দলের স্কোর বাড়াতে কাজ করছিলেন তিনিই। কিন্তু শেষ দুই ওভারে চট্টগ্রামের লাগাম টেনে ধরেন ঢাকার দুই মূল বোলার শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ। চট্টগ্রামও তাই পেয়েছে টেনেটুনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর। 

জেএ