পাকিস্তানে একটি কথা প্রচলিত আছে– ‘যদি আপনি একটি গাছ ধরে নাড়া দেন, সেখান থেকে এক-চতুর্থাংশ পেসার বেরিয়ে আসবে।’ বাস্তবেও তার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যায়, বছরে বড় একটা সংখ্যায় পেসারদের আগমন দেখা যায় দেশটির জাতীয় দলে। যে কারণে পাকিস্তানকে পেস বোলিংয়ের আঁতুড়ঘরও বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এক শাহ পরিবারেই তিনজন পেসারের দেখা মিলেছে। নাসিম শাহ’র পথ ধরে তার আরও দুই ভাই আছেন সেই তালিকায়।

জাতীয় দলে নিজের জায়গা আগেই ফাঁকা করে ফেলেছেন নাসিম। কিছুদিন আগে তার আরেক ভাইকে ঝড় তুলতে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। সেখানে উবায়েদ শাহ কেমন গতির ঝড় তুলেছেন, তা পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই টের পাওয়া যায়। পাকিস্তানকে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেওয়ার পথে বড় ভূমিকা রাখা এই পেসার পাঁচ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকার করেছেন।

তার আগে থেকে বয়সে বড় আরেক ভাই হুনাইন শাহ নজর কাড়েন দেশটির বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। বর্তমানে তিন ভাই খেলছেন পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে। যেখানে নাসিম–হুনাইনকে প্রায় নিয়মিত একাদশে দেখা যায়। আসরটিতে বাড়তি নজর কাড়া হুনাইনকে নিয়েই নতুন করে আলোচনার শুরু। সাবেক পাক অধিনায়ক রমিজ রাজা ১৯ বছর বয়সী এই পেসারকে নাসিম শাহের সঙ্গে একদলে না খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। তার দাবি– ভিন্ন দলে থাকলে আরও স্বাধীনতা নিয়ে পারফর্ম করতে পারতেন হুনাইন।

রমিজ রাজা

পিএসএলে গতকাল করাচি কিংসের বিপক্ষে খেলেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ইসলামাবাদের হয়ে একই দলে খেলছেন নাসিম, হুনাইন ও উবায়দ শাহ। ওই ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় রমিজ রাজা বলেন, ‘হুনাইনের জন্য ভালো হতো যদি সে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলত। কারণ এখানে সে নাসিমের ছায়ায় আছে, যে ইতোমধ্যে পাকিস্তান জাতীয় দলের সুপারস্টার। সে কারণে ভাইয়ের সঙ্গে একই দলে খেলতে গিয়ে কিছুটা চাপ নিয়ে খেলতে হয়।’

পিসিবির সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘আপনি ভীত যে হয়তো আপনার বড় ভাইয়ের মতো ভালো বল করতে পারবেন না। তার (হুনাইন) জন্য ভালো হতো যদি সে পুরো স্বস্তিতে থেকে খেলতে পারত। নাসিমের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে খেললে সে আরও ভালো পারফর্ম করতে পারবে।’

উল্লেখ্য, রমিজ রাজার উদ্বেগ থাকলেও, চলতি পিএসএলে হুনাইনের বোলিং প্রশংসিত হচ্ছে। ব্যাটিং–সহায়ক উইকেটে প্রায় সব তারকা বোলারই বেশ খরুচে বোলিং করছেন। সেক্ষেত্রে হুনাইনের বোলিং গ্রাফও ততটা খারাপ নয়, তিনি রান দিয়েছেন ৮.৬৩ ইকোনমিতে। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তার শিকার ৬ উইকেট। অন্যদিকে, বড় ভাই নাসিম ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন।

এএইচএস