টেস্ট আঙিনায় ফেরার দিনে সেঞ্চুরি করে দারুণভাবেই রাঙিয়েছিলেন ফাওয়াদ আলম। তারপর থেকে যেন আর থামছেনই না তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন; যাতে ভর করে স্বাগতিকদের রানের পাহাড়ে চাপা দিতে চলেছে পাকিস্তান। আর ফাওয়াদ নিজে ছুঁয়েছেন এমন এক কীর্তি, শেষ ৫৬ বছরে যা গড়তে পারেননি আর কেউ!

ফাওয়াদ যখন উইকেটে এসেছেন পাকিস্তান তখন সবে লিড নিয়েছে, আগের বলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম গোল্ডেন ডাক পেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন অধিনায়ক বাবর আজম। দুই ওভারের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা টালমাটাল পাকিস্তানকে ধাতস্থ করার কাজটা করেছেন ফাওয়াদ, সঙ্গে ছিলেন ওপেনার ইমরান বাট। তবে তিনিও টেকেননি বেশিক্ষণ, দলীয় ২২৬ রানে তাকে হারায় পাকিস্তান।

টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে দারুণ ভোগানো রিজওয়ান আসেন এরপর, দু’জনে মিলে পাকিস্তানের সংগ্রহটাকে ৩০০ পার করান। তবে তাদের ১০৭ রানের জুটি ভাঙে ব্লেসিং মুজারাবানির আঘাতে, তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৪৫ রান করা রিজওয়ান। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফকেও ফেরান ডোনাল্ড তিরিপানো।

তবে অন্য প্রান্তে ফাওয়াদ ঠিকই ছিলেন ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি হয়ে। ৭২ বলে ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক, আর প্রায় একই ছন্দে রান করে তিন অঙ্কের দেখা পান ১৪৩ বলে। এর ফলে শেষ পাঁচ ইনিংসে এ নিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ফাওয়াদ। 

আর টেস্ট ক্যারিয়ারে ফিফটি করার আগে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডের ছোট্ট তালিকাতেও ঢুকে গেছেন তিনি। ফাওয়াদ তার ক্যারিয়ারের প্রথম চারটা ফিফটিকেই রূপ দিয়েছেন সেঞ্চুরিতে, ক্যারিয়ারের শুরুতে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার তার সঙ্গে সমতায় আছেন কেবল চারজন, যার সর্বশেষটা আবার এসেছিল সেই ১৯৬৬ সালে। এক্ষেত্রে তার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল দু’জন। জর্জ হ্যাডলি আর এভারটন উইকস নিজেদের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতককে শতকে রূপ দিয়েছেন যথাক্রমে ৬ ও ৫ বার।

ক্যারিয়ারের প্রথম চার ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন যারা

ব্যাটার দল সেঞ্চুরি সংখ্যা সাল
জর্জ হ্যাডলি  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৩০-৩১
এভারটন উইকস  উইন্ডিজ ১৯৪৮
নিল হার্ভে অস্ট্রেলিয়া ১৯৪৮-৫০
পিটার পারফিট  ইংল্যান্ড ১৯৬২
জন এডরিচ  ইংল্যান্ড ১৯৬৪-৬৬
ফাওয়াদ আলম  পাকিস্তান ২০০৯-২০২১

তার এমন কীর্তিতে ভর করে পাকিস্তানও হারারে টেস্টে চলে এসেছে চালকের আসনে। দ্বিতীয় দিন শেষে লিড নিয়েছে ১৯৮ রানের। তাই সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় জয়ের আশাই দেখছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কষ্টার্জিত ২-১ ব্যবধানে জেতা পাকিস্তান।

এনইউ/এটি