মিরপুরের সেই ম্যাচ হেরে হত্যার হুমকিতে ছিলেন ডু প্লেসিস!
বিশ্বক্রিকেটে একটা বড় সময় ধরেই সমীহ জাগানিয়া দল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বড় টুর্নামেন্ট এলেই যেন মুখ থুবড়ে পড়াটা একপ্রকার নিয়মই হয়ে আছে দলটির। এর ব্যত্যয় ঘটেনি ২০১১ বিশ্বকাপেও। সেবার মিরপুরে কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ আশা শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। বিষয়টা এতটাই ক্ষুব্ধ করেছিল সমর্থকদের যে রীতিমতো দলের নবীনতম সদস্য ফাফ ডু প্লেসিসকে পরিবারসহ হত্যার হুমকিও দিয়ে বসেছিলেন কেউ কেউ!
সে বিশ্বকাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা তাড়া করছিল ২২২ রানের এক লক্ষ্য। নিজেদের ইনিংসের মাঝপথ পর্যন্ত কক্ষপথেই ছিল প্রোটিয়ারা। ২৫ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে যোগ করেছিল ১১০ রান। এরপরই ছন্দপতনের শুরু। ন্যাথান ম্যাককালামের বলে উইকেট খোয়ালেন জেপি ডুমিনি। এরপর বল মিড উইকেটে ঠেলে ডু প্লেসিসের দ্রুত রান নিতে যাওয়ার চেষ্টায় যায় এতক্ষণ বেশ সাবলীল খেলতে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে এরপর ক্রমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটা হারে ৪৯ রানে।
বিজ্ঞাপন
ডি ভিলিয়ার্সকে রান আউট করার দোষে সমর্থকদের রোষানলে পড়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসিস। এতটাই যে, তিনি তো বটেই, তার স্ত্রী ইমারি ভিসেরকেও দেয়া হয় হত্যার হুমকি!
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ক্রিকেট মান্থলিকে ডু প্লেসিসের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে এ বিষয়টা। তিনি বলেন, ‘সেই ম্যাচটা শেষে হত্যার হুমকি পেয়েছিলাম আমি। শুধু আমাকে হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা, আমার স্ত্রীকেও একই হুমকি দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম আমরা। আরও কিছু আক্রমণাত্মক কথাও বলা হয়েছিল আমাদের, যেগুলো এখন আর মনে করতে চাই না।’
সে হুমকির ঘটনা তরুণ ডু প্লেসিসের জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল। নিজেদের রীতিমতো গুটিয়েই নিয়েছিলেন দু’জনে। ডু প্লেসিসের ভাষ্য, ‘সে হুমকি পাওয়ার পর থেকেই নিজেদের অনেকটা গুটিয়ে নেই আমরা। পূর্বপরিচয় ছাড়া মানুষজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধই করে দিয়েছিলাম। নিজেদের কোনো কিছু প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ক্যাম্প বা অনুশীলন চলাকালেও নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলাম আমি।’
এনইউ/এটি