বিকল্প নেই, হেড কোচ হিসেবে থাকছেন ডমিঙ্গোই
বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গণমাধ্যমে এসেছে চাকরি হারাতে পারেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কাঠগড়ায় ডমিঙ্গো। এদিকে চাকরি না হারালেও আগামী আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে তার। এরপরের ভাবনা কি বিসিবি?
শুধু ডমিঙ্গোই নন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরজের পর ব্যাটিং পরামর্শক জন লুইসেরও চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তবে করোনাকালীন পরিস্থিতি আর বিশ্বকাপের আগে হাই প্রোফাইল বা ভালোমানের কোচ পাচ্ছে না বিসিবি। এজন্য নতুন কোচ পাওয়া না পর্যন্ত ডমিঙ্গো-লুইসদের হারাতে চান না টাইগার বোর্ড।
বিজ্ঞাপন
আজ (রোববার) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে চুক্তি নবায়ন করব কি করব না। এটা একটা ইস্যু। দ্বিতীয়টা হচ্ছে যদি আমরা নবায়ন না করি তাহলে বিকল্প একটা থাকতে হবে। থাকতে হবে তো? এই করোনাকালে এবং বিশ্বকাপের আগে এমন কোন কিছু আমাদের মাথায় নেই। এটাই বাস্তবতা।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ভালো মানের কোচ পাওয়া না গেলেও তাদের ধরে রাখার কারণ কি? যেখানে নিজেদের দায়িত্ব পালনে সফলতা এনে দিতে পারছেন তারা। এটি অবশ্য মানতে রাজি নন বিসিবি সভাপতি। খারাপ ফলের জন্য কাঠগরায় তুলছেন ক্রিকেটারদের। সেটি ব্যাখ্যাও করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
পাপন জানান,‘সমস্যা হচ্ছে হার জিত নিয়ে বড় কথা না। আজকে আমাদের ব্যাটিংটা দেখুন। ওরা কয়টা ভালো বল, দারুণ ফিল্ডিং করে আমাদের উইকেট নিয়েছে? শট সিলেকশনগুলো কি ঠিক ছিল? এখানে যত ভালো কোচই আনেন লাভ নেই তো। এখানে কোচের কথাটা পরে। আগে আমাদের প্লেয়ারদের নিয়ে বসতে হবে ওদের চিন্তা ধারাটা কি। এখানে কয়েকটা আউট খুবই বাজে ছিল। কোনো কারণই নেই এসব শট খেলার এই সময়টায়।’
টিআইএস/এটি/এমএইচ