ক্রিকেটারদের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি হয় এক বছরের জন্য। ২০২০ সালে বিসিবি সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করে। এ বছরের শুরুতে নতুন চুক্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও সেটি এখনো সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে অনেকবার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সবশেষ আজ (রোববার) জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসেই নতুন চুক্তির তালিকা প্রকাশ করবে বোর্ড।

পাপন জানিয়েছিলেন, এবার চুক্তির আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে, কে কোন ফরম্যাটে খেলতে আগ্রহী। অনেক ক্রিকেটারের টেস্ট ফরম্যাটে খেলায় অনীহা থাকায় এমন ভাবনা বোর্ডের। তবে আপতত সে আলোচনায় বসা হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের সময় এই আলোচনায় ঝুঁকি দেখছেন পাপন।

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে চলাকালীন মিরপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘এ সিরিজটা শেষ না হলে...। আসলে হচ্ছে কি, একটা সময় লাগবে তো। সিরিজের মধ্যে এটা করতে চাই না। কারণ এটা আবার বাইরে চলে আসে, এটা নিয়ে আবার একটা হুলুস্থুল হতে পারে। জানি না তো কে কী বলবে, কে কী করবে। তবে আমরা আশা করছি জুনের মধ্যে করে ফেলব।’

এদিকে করোনার কারণে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর আর্থিক উপার্জন কমে গেছে। তার প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। ধনী অনেক বোর্ড এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক কমানোর পথে হেঁটেছে। তবে বিসিবির এমন ভাবনা নেই। দুঃসময়ে সাকিব আল হাসান, তামিম ইবালদের পাশে দাঁড়াতে চায় বোর্ড।

পাপন জানান, ‘যত ধনী বোর্ডই হোক না কেন একটা আর্থিক সংকটে আছে। এটাতে কোনো সন্দেহ নেই, আমরাও আছি। আমরা যে ধরনের জায়গা থেকে যে আর্থিক ফান্ড পেতাম সেগুলো পাচ্ছি না। একটা জিনিস দেখেন এশিয়া কাপ হচ্ছে না। আমাদের এশিয়া কাপ থেকে তো একটা ভালো ফান্ড আসে, এখন অনিশ্চিত। আইসিসির খেলাগুলো হচ্ছে না ঠিকমতো, অনিশ্চিত।’
 
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘তার মধ্যে আমাদের অনেক খেলা ছিল শিডিউল করা, কিন্তু হয়নি। এগুলো তো আমাদের জন্য অবশ্যই সংকট। এখন পর্যন্ত বিসিবি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এই সংকটের সময়টা তো কেবল বোর্ডের না, সবার জন্য, খেলোয়াড়দের জন্যও। যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং সামনেও ওদের (খেলোয়াড়দের) ক্ষতি হয় এমন কোনো পরিকল্পনা আমদের নাই।’

টিআইএস/এমএইচ/জেএস/এটি