কয়েকদিন ধরেই সাকিব আল হাসান ছিলেন মানসিক অস্বস্তিতে। এমন খবর বের হয়েছিল আগেই। শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে তিনি ঘটিয়ে ফেললেন দুটি ঘটনা। প্রথমে স্টাম্প ভেঙেছেন, এরপর তেড়ে গেছেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের দিকে। এসব ভুলের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। তিনি এটিকে বলছেন, ‘মানবিক ভুল’। 

তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আমার মেজাজ হারানোর জন্য এবং ম্যাচটা সবার জন্য শেষ করে দেওয়ায়, বিশেষত যারা ঘরে থেকে খেলাটা দেখছিলেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরর এভাবে আচরণ করা ঠিক হয়নি। কিন্তু কিছু সময়ে এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি চলে আসে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়ে যায়।’

এটিকে ‘মানবিক ভুল’ (হিউম্যান এরর) উল্লেখ করে সাকিব লিখেছেন, ‘আমি আমার মানবিক ভুলের জন্য দল, ম্যানেজম্যান্ট, টুর্নামেন্ট অফিশিয়াল ও আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করি, আমি ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করব না। আপনাদের ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’

ঘটনার সূত্রপাত আবাহনীর রান তাড়ার পঞ্চম ওভারে। আবহনীর মুশফিকুর রহিমকে করা সাকিবের বলটা লেগেছিল তার পায়ে। দুই হাত তুলে আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার ইমরান পারভেজ নাকচ করেন ওই আবেদন। কয়েক সেকেন্ড না যেতেই সাকিব যেন হারিয়ে ফেললেন নিজেকে। স্টাম্পে লাথি মেরে ভেঙে ফেললেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বললেন আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে। এরপর সতীর্থরা এসে সাকিবকে টেনে নেন। ওই ঘটনা থামল সেখানেই। সাকিব চলে গেলেন ফিল্ডিং করতে।

স্টাম্পে লাথি মারার পরের ওভারে আবার মেজাজ হারান সাকিব। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের খেলা চলছিল। পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ করলেন আম্পায়ার। মাঠকর্মীদের দিকে ইশারায় কাভার আনতে বলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। তখন হঠাৎই রেগে যান সাকিব। মুখোমুখি হন আম্পায়ারের, ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে আম্পায়ারকে শাসান তিনি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাকিবের রাগের চূড়ান্ত রূপ দেখা যায়। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের তিনটি স্টাম্পই উপড়ে ফেলেন তিনি। দেন আছাড়ও। এরপর তিনি ধীরে ধীরে যেতে থাকেন ড্রেসিং রুমের দিকে। 

এমএইচ