সাকিব আল হাসান আজ (শুক্রবার) যে কাণ্ড ঘটালেন, সেটি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? খেলার অংশ নাকি ক্রিকেটীয় সূলভ আচরণ! সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম বলছেন, খেলার মধ্যে উত্তেজনাবশত এমন ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে সাকিবের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলছেন তিনি। এজন্য মোহামেডান অধিনায়কের কোনও শাস্তি হচ্ছে কি না সেটি এখনই নিশ্চিত করতে পারেননি। এজন্য ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের অপেক্ষায় সিসিডিএম।

ম্যাচের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাজী ইনাম বলেন, ‘খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। আজকে আবাহনী মোহামেডানের খেলা ছিল এবং সেখানে অনেক উত্তেজনা থাকে। একটা ঘটনায় আমরা সাকিব আল হাসানকে দেখতে পেলাম। এটা ফেসবুক লাইভ এবং ইউটিউব লাইভও ছিল। সুতরাং আপনারা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক, ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেখানে মূহূর্তের উত্তেজনায় এমন কিছু হয়ে যায়। কিন্তু আমরা আশা করি সব সময় খেলোয়াড়েরা নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আমাদের এখানে যেটি হচ্ছে আপনি দেখেন যেকোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে যেরকম থাকে, আমাদের এখানেও একই। এখানে টিম নিয়ন্ত্রণে আমাদের যারা দেখে, মূলত ম্যাচ রেফারি যারা দেখে, ম্যাচ আম্পায়ার্স, তারা একটা রিপোর্ট দিবে। আমরা আশা করছি আজ তাদের রিপোর্ট আসবে সব নিয়ম কিন্তু আছে, আপনি কোনো নিয়ম ভাঙলে বা এমন যাই আসুক না কেন আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিব।’

ঘটনার সূত্রপাত আবাহনীর রান তাড়ার পঞ্চম ওভারে। মুশফিকুর রহিমকে করা সাকিবের বলটা লেগেছিল তার পায়ে। দুই হাত তুলে আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার ইমরান পারভেজ নাকচ করলেন ওই আবেদন। কয়েক সেকেন্ড না যেতেই সাকিব যেন হারিয়ে ফেললেন নিজেকে। 

স্টাম্পে লাথি মেরে ভেঙে ফেললেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বললেন আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে। পরে ওই ঘটনা থামল সেখানেই। সাকিব এরপর চলে গেলেন ফিল্ডিং করতে। 

ঘটনা সেখানেই থামেনি। আরও বড় ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে। পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি নামলে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন খেলা বন্ধ করার। তবে তাদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন সাকিব। এক পর্যায়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে করতে স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন তিনি। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় তর্কে জড়ান আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। পরে অবশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে সাকিব।

টিআইএস/এমএইচ