রোববার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তদন্ত কমিটির সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়/ঢাকা পোস্ট

সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে লাথি মারার ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে অনেক প্রশ্ন। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ও আম্পায়ারিং ইস্যু নিয়ে এতদিন যে অভিযোগ ছিল, সেটি ডালপালা মেলে আরও বড় আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনা হচ্ছে। এজন্য বিসিবি সভাপতি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। বেধে দিয়েছিলেন তিন দিনের সময়। তবে সে সময়ে তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিয়েছে কমিটি। এজন্য বোর্ড সভাপতির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে বলেও জানান তদন্ত কমিটিতে থাকা নাইমুর রহমান দুর্জয়।

পাঁচ সদস্যের কমিটিতে দুর্জয় ছাড়াও আরও আছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল, বোর্ড পরিচালক শেখ সোহেল এবং প্রধান ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। তাদেরকে বলা হয়েছে আগামী ১৫ জুন বোর্ড মিটিংয়ের আগে রিপোর্ট পেশ করতে। তবে আজ ১৩ তারিখ চলে গেলেও এই তদন্ত কমিটি এখনও তারা তাদের কাজ শুরু করেননি। এজন্য নাজমুল হাসান পাপনের কাছে সময় চাইবে তদন্ত কমিটি।

এই কমিটির সদস্য দুর্জয় আজ (রোববার) মিরপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাপতি একটি গাইডলাইন দিয়েছেন। স্পেসিফিক কিছু থাকলে পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দেখতে বলা হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করবো, এখনও কাজ শুরু করিনি। তো সেই গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা এগোবো। আমরা কাজ শুরু করি। এরপর সময় লাগলে আমরা বোর্ড প্রেসিডেন্টের কাছে আরো সময় চাইতে পারি।’

ডিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। অভিযোগ আছে এই দলটি বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। চলতি আসরে আট রাউন্ড হয়ে গেলেও আবাহনীর কোনো ব্যাটসম্যান এখনো এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেননি। আরও অভিযোগ আছে, নির্দিষ্ট কয়েকজন আম্পায়ারকেই আবাহনীর ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এই অভিযোগের বিষয়ের দুর্জয়ের ব্যাখ্যা, ‘কাজ শুরু করলে এইরকম যত অভিযোগই আসবে সেসব নিয়ে আমরা কাজ করবো। তাছাড়া আমরা এটাও দেখব যে কারা কোন আম্পায়ারকে কোন ম্যাচে রাখছে। এটা তো যারা আম্পায়ার ঠিক করে তাদের সাবজেক্ট। আমরা সেটাও দেখব।’
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘এখন তো ক্রিকেটের সিস্টেমেই চালু আছে যে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বা টিম ম্যানেজমেন্ট আম্পায়ারিংয়ের উপর রিপোর্ট দিবে। এখন হয়ত তদন্তে সেই রিপোর্টগুলো বের হয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টগুলোও খতিয়ে দেখব।’

টিআইএস/এনইউ