করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বদলে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। বদল এসেছে ক্রীড়াঙ্গনেও। এর আঁচ বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল এখন পর্যন্ত দুটি বিদেশ সফর করেছে। একটি নিউজিল্যান্ডে, আরেকটি শ্রীলঙ্কায়। এবার জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

টাইগাররা এর আগে যে দুই দেশে সফরে গেছে, সেখানে অনুশীলন ম্যাচ খেললেও স্বাগতিক বোর্ড থেকে তেমন কোনো সুবিধা পায়নি। স্কোয়াড বড় করে নিয়ে যেতে হয়েছে দেশ থেকে। নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। এবার জিম্বাবুয়েতে একমাত্র টেস্টের আগে দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ও ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। যেখানে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ঠিক করবে জিম্বাবুয়ে বোর্ড।

তবে কাদের বিপক্ষে খেলে নিজেদের প্রস্তুত করবেন সাকিব-তামিমরা এই বিষয়ে এখনো কোনও ধারণা পায়নি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য দায়িত্ব পাওয়া টিম লিডার সাজ্জাদুল আলম ববি আজ (রোববার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা এখনো পাইনি। জিম্বাবুয়েই দেবে স্কোয়াড। তবে কি লেভেলের দিবে, আমরা সেটা জানি না। যেটাই দেওয়া হোক আমাদের অনুশীলন করতে হবে।’

সম্প্রতি বাংলাদেশ এখন বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ সমীহ জাগানিয়া দল। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ে তুলনামূলক দুর্বলই বটে। দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাবে টাইগাররা। স্বাগতিকদের সামলাতে কি ভাবছে সফরকারীরা?

সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘অনেকের ধারণা এটা (দুর্বল দল)। কিন্তু জিম্বাবুয়ে খারাপ দল না। তারা সবসময়ই ভালো, আর নিজেদের দেশে আরও ভালো। আগে তো ছিল বিশ্বমানের, ফ্লাওয়ার ভাইয়েরা খেলতো, হিথ স্ট্রিক ছিল। এখন আমরা যাওয়ার পর তারা কাদের খেলাবে, এসব না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আর দূরে বসে অগ্রিম এসেসমেন্ট করাটাও ঠিক না। ওরা নিজেদের মাটিতে খেলবে, ঘরের মাঠের সুবিধা পাবে। আমরা জিম্বাবুয়েতে যাচ্ছি প্রায় ৮ বছর পর।’

কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া নিয়ে সাজ্জাদুল আলম জানান, ‘গিয়ে আমরা একটা হোটেলে থাকব। ওই হোটেলেই একমাস থাকতে হবে। কোথাও যেতে পারবো না। এটাই স্বাভাবিক, যেটা আমরা এখানে করেছি। কোয়ারেন্টাইন একদিন, এরপর তারা পর্যবেক্ষণ করবে, টেস্ট হবে।’

টিআইএস/এমএইচ