চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডানের দর্শকশূন্য ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। এই ড্রয়ে মোহামেডান ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ আর আবাহনী সমান ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। দুই দলের আগের লড়াইও অমীমাংসিত ছিল। কুমিল্লায় মোহামেডানের হোমে স্কোরলাইন ২-২ ছিল। এই ম্যাচের পর বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে আবাহনী ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের আকর্ষণীয় ম্যাচ ঢাকা ডার্বির প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হয়। মোহামেডান ম্যাচে প্রথমে লিড নেয়। পরে আবাহনী ম্যাচে সমতা আনে। ম্যাচের দুটি গোলই করেছেন বিদেশি ফুটবলাররা। 

প্রথমার্ধ পুরোটা ছিল বেশ উপভোগ্য। দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করেছে। ম্যাচের ৩ মিনিটে প্রথম আক্রমণ আবাহনীর। সানডে চিজোবার শট সরাসরি মোহামেডান গোলরক্ষক বরাবর। ১৬ মিনিটে জটলা তৈরি হয়েছিল মোহামেডানের বক্স-এ। এখান থেকে কোনো ফায়দা তুলে নিতে পারেনি আবাহনী। 

তিন বারের প্রচেষ্টায় অবশেষে সফল হন সাদাকালোদের ইয়াসান আওয়াচিং। ২৯ মিনিটে মোহামেডানকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন তিনি। ৩২ মিনিটে মোহামেডানের গোলকিপার সুজন হোসেনের ভুলে সুযোগ তৈরি হয়ে গিয়েছিল আবাহনীরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোল পায়নি তারা।    

তবে ৪১ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে আবহনী। মোহামেডানের ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন আবাহনীর হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ধানমন্ডির ক্লাবটি। কর্নার থেকে বাঁকানো শট নিয়েছিলেন মামুনুল। বল দারুণ সুইং করে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। সেকেন্ড বারে লেগে তা প্রতিহত হয়। দুভার্গ্য মামুনুল ও আবাহনীর। ৬৮ মিনিটে ভালো একটা সুযোগ তৈরি করেছিল আবাহনী। কিন্তু সানডে চিজোবা যে শট নিলেন তা গোলমুখ বরাবর রাখতে পারেননি।
 
৭২ মিনিটে আবারও সুযোগ এসেছিল আবাহনীর সামনে। বেলফোর্ট থেকে বল গিয়েছিল সানডের কাছে। কিন্তু সানডের হেড চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।

মোহামেডান এই অর্ধে সেভাবে আক্রমণ করতে পারেনি। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন বেশ কয়েকবার ভুল করে দলের বিপদ ডেকে এনেছেন। 

দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডান উভয় দলের কয়েকজন সমর্থক প্রবেশের চেষ্টা করেছিল ভিভিআইপি ও মিডিয়া গেট দিয়ে। ম্যাচ কমিশনারের হস্তক্ষেপে অবশ্য তারা প্রবেশ করতে পারেননি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য রেফারি মিজানুর রহমানের পরিবর্তে এদিন বাঁশি বাজান জালাল উদ্দিন। 

এজেড/এমএইচ/জেএস