খালেদ মাহমুদ সুজন ও আকরাম খান, দু’জনেই আছেন ক্রিকেট বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে। প্রথমজন গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান, দ্বিতীয়জনের দায়িত্ব ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সখ্যতাটা যেন সুজনেরই বেশি। সাবেক এই অলরাউন্ডার মাঠে নিজের উপস্থিতিকেই এর কারণ হিসেবে দেখছেন। 

পক্ষান্তরে আকরাম খান বড় পদে থাকলেও মাঠের উপস্থিতি তার খুব কম। সুজন জানালেন, আকরামের অন্য ব্যবসার কারণে মাঠে আসারই সময় পান না, যে কারণে ক্রিকেটাররাও পান না আকরামের দেখা।

আজ সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সুজন জানান বিষয়টি। বলেন, ‘আকরাম ভাই কখন বোর্ডে এলেন, কখন গেলেন... সবসময় যে আসেন, সেটাও কিন্তু না। তিনি ব্যস্ত থাকেন, ব্যবসা আছে ওনার, এরপরও চেষ্টা করেন বিসিবিতে সময় দেওয়ার। সে কারণেই ক্রিকেটাররা দেখা পায়না তার।’

তবে সুজনের বিষয়টি ভিন্ন। তিনি জানান, ক্রিকেট মাঠে উপস্থিতির কারণেই তার সঙ্গে ক্রিকেটারদের বোঝাপড়া ভালো। বলেন, ‘আমি মাঠের লোক, মাঠেই থাকি। বোর্ডে যাই, সবার সঙ্গেই আমার দেখা হয়। বোঝাপড়াটাও ভালো এ কারণে।’ 

তিনি আরো যোগ করেন, ‘হয়তো খেলোয়াড়দের সাথে ওই সময় উনার দেখা হয়না। আমার সাথে যেভাবে খোলাখুলি কথা বলতে পারে সেটা হয়তো আকরাম ভাইয়ের সাথে পারেনা, ওনার সাথে সেই সম্পর্কটা গড়ে ওঠেনি ক্রিকেটারদের। যেকোনো টপিক নিয়ে আমাকে বলতে পারে, ঐ সময় আকরাম ভাইকে তো তারা পায়না। তো এটাই হয়তো কারণ হতে পারে।’

ক্রিকেটারদের সঙ্গে যেমন সাক্ষাৎ হয় না আকরামের, তেমনি বোর্ডে কাজ করে সুজনও পান না তার দেখা। সবশেষ দুজনের সাক্ষাৎ হয় সেই শ্রীলঙ্কা সিরিজে। এরপর মাঝে ডিপিএল গড়িয়েছে মাঠে, চলে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়, কিন্তু দুজনের কথাও হয়নি এ সময়ে।

তবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের উন্নতির জন্য আকরামের নিবেদন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই সুজনের। বললেন, ‘আমার মনে হয় আকরাম ভাই যথেষ্ট সময়ই দেন এরপরেও...। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে কিভাবে উন্নতি করবেন চেষ্টা করেন। আকরাম ভাইয়ের সাথে আমার শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর এখনো দেখাই হয়নি সত্যি কথা বলতে। আমিও বোর্ডে যাইনি, আবাহনীর সাথে ছিলাম খেলা ছিল। বোর্ডে গেলেতো দেখা হয়ই।’

এনইউ