একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ দলের গলার কাটা হয়ে বিঁধেছিলের জিম্বাবুয়ে দুই ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর ও তাকুজওয়ানাশে কাইতানো। সেঞ্চুরির পথে থাকা টেলরকে অবশ্য আটকানো গেছে প্রথম সেশনেই। তাকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে দিনের প্রায় পুরোটা সময় উইকেট আকড়ে পড়ে থাকেন কাইতানো। এবারও দৃশ্যপটে সেই মিরাজ। এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর পর লড়াই করতে পারেননি স্বাগতিক আর কোনও ব্যাটসম্যান।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের তোলা ৪৬৮ রানের পর ব্যাট করতে নেমে ২৭৬ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের হয়ে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন দুই স্পিনার মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। মিরাজ তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট। সাকিবের সংগ্রহ ৪টি। তবে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানের বিশাল লিড পেয়েছে বাংলাদেশ দল।

নিজেদের শুরুর আড়াই সেশনে জিম্বাবুয়ে দল যেভাবে ব্যাট করছিল, তাতে এই ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকেই। তবে সে শঙ্কা আপাতত উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব আর মিরাজ। এখনো তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়নি, যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগেই ১৯২ রানে এগিয়ে টাইগাররা। জোর দিয়ে বলাই যায়, এ ম্যাচে ফলাফলের দিকে এক ধাপ এগিয়ে সফরকারীরা।

ব্যাট করতে নেমে নিজেদের উদ্বোধনী জুটিতেই ৬১ রান জমা করেন দুই ওপেনার কাইতানো ও মিল্টন শুম্বা। দ্বিতীয় উইকেটে কাইতানো-টেলরের ১১৫ রানের পার্টনারশিপ ভয় ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। পরে টেলর ৮১ রান করে আউট হলে স্বস্তি ফেরে কিছুটা। তৃতীয় উইকেটে কাইতানো ও মেয়ার্স জুটি থেকে আসে আরও ৪৯ রান। মূলত তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে খেলায় ফেরে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হয়ে মাত্র ৫১ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। হুমকি হয়ে দাঁড়ানো কাইতানোকে ৮৭ রানের মাথায় আউট করেন মিরাজ। এরপর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। মিরাজের ৫ ও সাকিবের ৪ উইকেটের কল্যাণে ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

টিআইএস