দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় জয়ের ভিত গড়ে দেয় ডি কক ও মালানের উদ্বোধনী জুটি/ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৪৬/৪ (মালান ১৭৭*, ডি কক ১২০; ইয়ং ৬১-১, লিটল ৫৩-২, সিমি ৫২-১)
আয়ারল্যান্ড: ৪৭.১ ওভারে ২৭৬ (ক্যাম্পার ৫৪, সিমি ১০০*; মহারাজ ৩৭-১, উইলিয়ামস ৬২-১, ফেলুকওয়ায়ো ৫৬-৩, তাবরাইজ ৪৬-৩)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭০ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র
ম্যাচ ও সিরিজসেরা: ইয়ানেমান মালান

হেরে গেলে তো বটেই, কোনোক্রমে যদি জয় না-ই পেত দক্ষিণ আফ্রিকা, তাহলেই পড়ে যেত আয়ারল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারের লজ্জায়। তবে তৃতীয় ওয়ানডেতে বিশাল জয় দিয়েই তা এড়িয়েছে প্রোটিয়ারা। ইয়ানেমান মালান আর কুইন্টন ডি ককের শতকে ভর করে তুলে নিয়েছে ৭০ রানের জয়, সিরিজটা শেষ হয় ১-১ সমতায়। 

শেষ কিছুদিনে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপের একমাত্র ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান ডি কক। সেই ডি কককেই কিনা দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল দলটা। সিদ্ধান্তটা যে ভুল ছিল, তা আর বলে না দিলেও হয়। তাকে ছাড়া যে দ্বিতীয় ম্যাচটা সফরকারীরা হেরে বসেছিল ৪৩ রানে!

প্রথম ওয়ানডে ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ফলে তৃতীয় খেলাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মানরক্ষার লড়াইতে। সে লড়াইয়ে আর দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে ছাড়া নামা যায় নাকি? দক্ষিণ আফ্রিকা নামেওনি।

ফলটাও মিলেছে হাতেনাতে। শুরু থেকে তার বিধ্বংসী ব্যাটিংই তাদের দেয় বড় জয়ের ভিত। ৯১ বলে ১২০ রান নিয়ে তিনি যখন ফিরছেন, উদ্বোধনী জুটিতে তখন যোগ হয়ে গেছে ২২৫ রান। 

মালান অবশ্য ডি ককের মতো শুরু থেকেই প্রলয়ঙ্করী রূপে ছিলেন না। শুরুতে কেবল সঙ্গীকে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন উইকেট ধরে রেখে। উইকেট একটু সহজ হয়ে আসতেই নিজের আসল রূপে এলেন যেন। এরপর ব্যাট করলেন পুরো ৫০ ওভার। তাতেই খেলা হয়ে গেল ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটাও। ১৬৯ বলে করলেন ১৭৭ রান। তাতে ভর করে দলের সংগ্রহটাও গিয়ে ঠেকল ৪ উইকেটে ৩৪৬ রানে।

সামনে ৩৪৭ রানের বিশাল লক্ষ্য। এ চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে হলে দারুণ কিছু করতে হতো আইরিশ টপ অর্ডারের। কিন্তু পল স্টার্লিং কিংবা অ্যান্ডি বালবার্নিরা তা পারেননি। স্বাগতিকরা ২৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। 

ম্যাচটা কার্যত শেষ হয়ে গেছে সেখানেই। এরপর কুর্তিস ক্যাম্পার আর সিমি সিংয়ের লড়াই চলেছে বেশ কিছুক্ষণ। ৫৪ রান করে ক্যাম্পার ফিরলেও সিমি লড়ে গেছেন শেষতক। শতরান ছুঁয়েছেন ৯১ বলে। অন্য প্রান্তে কেবল সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলই দেখেছেন তিনি। ফলে আইরিশদের ইনিংস শেষ হয় ৪৮তম ওভারেই, লক্ষ্য থেকে ৭১ রান দূরে ২৭৬ রান করে।

৭০ রানের এই জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা ১-১ ড্র করতে সক্ষম হয়েছে। তাতে শেষ ম্যাচ থেকে ওয়ানডে সুপার লিগের মূলবান দশটা পয়েন্টও অর্জন করে ফেলেছে তারা। এবার লড়াই টি-টোয়েন্টির। আগামী সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।

এনইউ