ফাইল ছবি

করোনার কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ সরকার। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা মানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে বাংলাদেশে খেলতে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে খানিক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সফরকারীদের। এজন্য শুক্রবার অনুশীলন শুরু করবে বলে জানালেও পূর্বের সূচিতেই মাঠে নামবে তারা।

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে তবেই খেলায় ফিরছে আন্তর্জাতিক দলগুলো। ৩টি ওয়ানডের সঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে গত ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পা রেখেছে উইন্ডিজ। শর্ত অনুযায়ী ৩ দিন হোটেল বন্দি কোয়ারেন্টাইন করবে সফরকারীরা। 

এর মাঝে দুইটি কোভিড টেস্ট দিবে। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে তবেই মাঠে ফিরতে পারবে তারা। তবে বাংলাদেশে আসার পথে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর ব্যবহার করে উইন্ডিজ। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মোতাবেক, যুক্তরাজ্য হয়ে আসলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। 

এজন্য পরপর দুটি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েও চতুর্থ দিনে গিয়ে তাদের অনুশীলনে নামার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। শঙ্কা ছিল পুরো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়া নিয়ে। তবে জাতীয় স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে সেই শঙ্কা দূর করা গেছে। 

এরপর জানা যায়, পূর্বের সূচিতে অনুশীলনে ফিরবে না ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন, কোয়েরেন্টাইন ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে দেনদরবারের জন্য উইন্ডিজ দল অনুশীলনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না। এজন্য তারা চায়, বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সূচি থাকলেও একদিন পিছিয়ে তারা শুক্রবার মাঠে ফিরবে।

তবে শেষ মুহূর্তে এসে নিজেদের প্রস্তুত করার মিশনে একদিন সময় নষ্ট করবে না বলে মনস্থির করেছে সফরকারীরা। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই অনুশীলনে ফিরবে সফরকারীরা। এদিন দুই ধাপে অনুশীলন করবে উইন্ডিজ। সকাল ১০টায় শুরু হবে টেস্ট দলের অনুশীলন। সেটি শেষ হলে ওয়ানডে দল অনুশীলন শুরু করে দুপুর দেড়টায়।

টিআইএস/এমএইচ