উইকেট তুলে নিয়েই দুই দিকে দুই হাত প্রসারিত, শাহীন আফ্রিদির এ যেন ‘আফ্রিদিসুলভ’ উদযাপন/ক্রিকইনফো

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ৩০২

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ১৫০ (বোনার ৩৭, ব্ল্যাকউড ৩৩, হোল্ডার ২৬; আফ্রিদি ৬-৫১, আব্বাস ৩-৪৪)

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৬/৬ (ইমরান ৩৭, আবিদ ২৯, আজহার ২২, বাবর ৩২; হোল্ডার ২- ২৭, জোসেফ ২-২৪)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ৪৯/১ (ব্র্যাথওয়েট ১৭, পাওয়েল ২২)

তৃতীয় দিন শেষেই চালকের আসনে চলে এসেছিল পাকিস্তান। জ্যামাইকা টেস্টের চতুর্থ দিনে সেখানে আরও জাঁকিয়ে বসেছে বাবর আজমের দল। বৃষ্টির কবলে পড়ে চারটা সেশন নষ্ট হওয়ার পরও তাই শেষ দিনে জয়ের দারুণ সম্ভাবনাই দেখছে পাকিস্তান।

প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩০২ এর জবাবে উইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫০ রান তুলতেই। শাহিনশাহ আফ্রিদির আগুনে বোলিংয়ের সামনে কোনো জবাবই ছিল না স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের।

আগের দিনই ৩৯ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ছিল ক্যারিবীয়রা। চতুর্থ দিনেও তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। শুরুটা হয় দিনের সপ্তম বলেই। আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন আলজারি জোসেফ। 

ইনিংসের উদ্বোধন করতে নামা এনক্রুমাহ বোনার এরপর জের্মাইন ব্ল্যাকউডকে সঙ্গে নিয়ে একটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন বটে, কিন্তু সেটাও ভেঙে পড়েছে জুটির পঞ্চাশ পেরোবার পরই। তবে এরপর এক জেসন হোল্ডার ছাড়া আর কেউই তেমন বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫০তেই শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয়রা।

১৫২ রানের লিড এমনিতেই স্কোরবোর্ডে ছিল পাকিস্তানের। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে এরপরও পাকিস্তান ব্যাট চালিয়েছে ওয়ানডে মেজাজে, দিন যে বাকি ছিল আর মাত্র দেড়টা! তাতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বটে, কিন্তু তার ভাবনা সফরকারীদের ছিল কোথায়? 

অর্ধশতক না এলেও শুরুর চার ব্যাটসম্যানের ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস আর বাকিদের ছোটখাটো ক্যামিওতে ভর করে পাকিস্তান পেয়ে যায় ৩২৮ রানের বড় একটা লিড। এরপর আর দেরি করেননি দলের অধিনায়ক বাবর, ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছেন উইন্ডিজকে চার সেশনে ৩২৯ রানের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

সে চ্যালেঞ্জে এখনো অবশ্য খুব একটা পা হড়কায়নি উইন্ডিজ। আলসেমির খেসারত দিয়ে কাইরন পাওয়েল রানআউট না হলে হয়তো আরও ভালোভাবেই দিনটা শেষ করতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু তার পরেও দিনের শেষটা নেহায়েত মন্দ হয়নি দলটির। ৪৯ রান তুলেছে সেই একটা উইকেট হারিয়ে। শেষ দিনে চাই আরও ২৮০ রান। ফলে দুই দলের কারো জয় কিংবা ড্রয়ের সম্ভাবনা ভালোভাবেই টিকে আছে জ্যামাইকা টেস্টে। 

তবে পরিস্থিতি বিচারে পাকিস্তানই কিছুটা এগিয়ে। একে তো আফ্রিদি আছেন, তার ওপর যদি যোগ হয় শেষ দিনের পিচের অবস্থা, তখন জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দেয় না কী করে?

এনইউ