রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন-ব্লুতে বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। বসেছে ক্রিকেটে মাঠের বাইরের মহাউৎসব। ২০১৭ সালের  ৩১ অক্টোবরের পর আবার বসেছে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম। প্রায় ৪ বছর পর এই এজিএমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সব পরিচালক আর কাউন্সিলরা এক হয়েছেন একই ছাদের নিচে। বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সভাপতিত্বে শুরু হয়েছে আজকের এজিএম।

একনজরে এজিএমের কার্যক্রম-

সম্মানিত সদস্যদের আসনগ্রহণ চলে ১১.৩০ থেকে ১১.৫০ পর্যন্ত। বোর্ড সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দদের আসনগ্রহণ ১১.৫৫ মিনিটে। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মধ্যে দিয়ে দুপুর ১২টায় শুরু এজিএমের মূল কার্যক্রম। এরপর বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ১২.০৫টায়।

কাউন্সিলরবৃন্দের উদ্দেশে বোর্ড সভাপতির স্বাগত বক্তব্য ১২.১০ মিনিটে। এরপর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয় এবং জয়ী দলের উপর অডিও ভিজ্যুয়াল উপস্থাপন পর্ব, যেটি শুরু হবে ১২.৩০ মিনিটে। সবশেষ বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্যসূচি আলোচনা ও অনুমোদন দিয়ে মূল পর্ব শুরু দুপুর ১২.৩৫ মিনিটে।

* বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১২.১ অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১ আয়োজনে অনুমোদন।

* গত ২রা অক্টোবর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন।

* গত ২রা অক্টোবর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন।

* পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক পেশকৃত পূর্ববর্তী বছর-সমূহের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০) কার্যক্রমের প্রতিবেদন বিবেচনা এবং অনুমোদন।

* পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ও অর্থ কর্মকর্তা কর্তৃক পূর্ববর্তী বছর-সমূহের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০) আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও অনুমোদন।

* বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চলতি আর্থিক সালের (১লা জুলাই ২০২১ হইতে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত অর্থ বছরের) বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন।

* বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পূর্ববর্তী ও চলতি অর্থ বছর সমূহের (২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০) আয়-ব্যয়ের হিসাব হিসাব পরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক ও পারিতোষিক নির্ধারণ।

* সভাপতি অথবা সাধারণ পরিষদের কোন উত্থাপিত কোন জরুরি বিষয় নিষ্পত্তি।

* বোর্ড কার্যক্রমের উপর  কাউন্সিলরবৃন্দের আলোচনা।

* বোর্ড সভাপতি কর্তৃক বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা।

* মধাহ্নভোজ।

কক্সবাজারে ২০০০ সালের অনুষ্ঠিত এজিএম-এ আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের তাগিদ দেয়া হলেও গত ২১ বছরে তার অগ্রগতি নেই। এবার জানা গেছে,।বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই এজিএম-এ গঠনতন্ত্রে কোন সংশোধনী আসছে না। থাকছে না এজিএম এর সাথে ইজিএম আয়োজনের ঘোষণা।

এক সময় বোর্ডের কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদে ক্রমেই কমেছে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণ। তবে এবারের এজিএমে সবার সরব উপস্থিতি থাকবে। যেখানে সর্বমোট ১৬০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের ৭০ জন কাউন্সিলর ইতোমধ্যে এসেছেন। তাদের আবাসন সুবিধার সঙ্গে মূল্যবান গিফট হিসেবে থাকছে ১ লাখ ৪০ হাজার করে টাকা ও প্রত্যেকের জন্য একটি করে ল্যাপটপ।

এজিএমের এজেন্ডাগুলো তুলে ধরা হবে প্রধান নির্বাহীর ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তার ৮ পৃষ্ঠার হিসাব বিবরণীতে। প্রতি অর্থবছরে ৮ লাখ টাকার পারিতোষিকে এ. কােশেম এন্ড কোম্পানীর তৈরি করা অডিট রিপোর্ট সাধারণ কাউন্সিলে অনুমোদন করিয়ে নেয়াটাই প্রধান লক্ষ্য বিসিবির।

টিআইএস/এটি/এনইউ