প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার শাওনের জন্য এগিয়ে এলেন নিঝুম
বাংলাদেশ জাতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের খেলোয়ার মো. শাওন সিকদারকে ক্রিকেট খেলার পুরো সেট সরঞ্জাম সহায়তা দিয়েছেন পিরোজপুর ক্রিকেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হুদা নিঝুম। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শহরের রোজ গার্ডেনে তাকে এসব তুলে দেন নিঝুম। ক্রিকেট সরঞ্জামাদির অভাবে প্রতিবন্ধী দলের হয়ে শাওনের ভারত সফর যখন অনিশ্চিত, তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে একটি আন্তর্জতিক সিরিজ খেলার উদ্দেশে ঢাকায় এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের শাওন সিকদার। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মৎস্যজীবী বাবুল সিকদার ও মা নাসিমা বেগমের বড় সন্তান।
বিজ্ঞাপন
শাওন কখনও ইজিবাইক চালিয়ে, কখনও বাবার পেশায় সাহায্য করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ডান পায়ের পাতা শৈশবে পুড়ে গেলে তার জীবনে নেমে আসে প্রতিবন্ধীত্ব। তবে তার ক্রিকেটার হওয়ার পথে এটি বাধা হতে পারেনি। গ্রামের মাঠে খেলতে খেলতে শাওন এখন জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার।
ক্রিকেটার শাওন সিকদার বাবা বাবুল সিকদার জানান, এবারের ভারত সফরে তার ছেলে যেতে পারবে এটা তিনি কখনো কল্পনা করেননি। কারণ তার ক্রিকেট সরঞ্জামাদি ছিল না। এগুলো ছাড়া ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ সম্ভব না। অনেকে যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তখন ক্রিকেট প্রেমী আজমল হুদা নিঝুম ব্যাক্তিগতভাবে শাওনকে প্রায় ২০ হাজার টাকার খেলার সরঞ্জামাদি কিনে দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ জাতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধি ক্রিকেট দলের খেলোয়ার মো. শাওন সিকদার বলেন, গ্রাম থেকে খেলা শুরু করে ঢাকার গাজিপুর গ্লাডিওটস ক্লাবের হয়ে খেলেছি বহুদিন। ইংল্যান্ড সফরে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেরসহ বিভিন্ন দেশের সাথে খেলায় অংশগ্রহন করে সন্মাননাও পেয়েছি। কিন্তু এবারের ভারত সফরে যাওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামাদির অভাবে। অনেকেই আশা দিয়েছে কিন্ত পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। সফর যখন অনিশ্চিত ঠিক তখনই নিঝুম ভাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পিরোজপুর ক্রিকেট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আজমল হুদা নিঝুম বলেন, আমি সব সময়ই খেলাধুলার পাশে ছিলাম, এখনও আছি আর ভবিষ্যতেও থাকবো। যখন শোনলাম ক্রিকেটার শাওন খেলার সরঞ্জামাদির অভাবে খেলতে যেতে পারছে না তখনই তার কাছে লোক পাঠাই। তাকে এনে খেলার জন্য সকল সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে।
মো: আবীর হাসান/এমএইচ