ব্যাট হাতে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকুর রহিমের। নিজের খেলা শেষ ৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিফটির দেখা পাননি, সর্বসাকুল্য করেছেন ৫০ রান। যেখানে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০ রান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অফ ফর্মের কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন খোদ মুশফিক। রানে ফিরতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যার প্রথম ম্যাচে আজ (মঙ্গলবার) মাঠে নেমেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

দুই দলের ম্যাচে চট্টগ্রামে ‘এ’ দলের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে এইচপি ইউনিট। ‘এ’ দলের বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যায় অধিনায়ক আকবর আলীর দল। এতে এইচপির ইনিংস থামে ২৪৭ রানে। ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অর্ধশতক তুলে নেন আলোচনার বাইরে থাকা জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে নেমে রানের দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। খেলেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস। এতে ৬ উইকেটের জয় পায় ‘এ’ দল।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস ভাগ্যও কথা বলেনি এইচপির হয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নামে তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই  সাজঘরে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। শহিদুল ইসলামের শিকার হওয়ার আগে ৩ রান করেন তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে নেন তানজিদ হাসান তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩০ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৮ রান করে আউট হলে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। 

জয় না পারলেও ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। খেলেন ৯৩ বলে ৮১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন শাহাদাত হোসেবন দিপুও। ৬৪ বলে ৫১ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে আকবর আলীর ২৪ বলে ২৮ রানের সুবাদে অলআউট হওয়ার ২৪৭ রানের পুঁজি পায় এইচপি ইউনিট। ‘এ’ দলের হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম।

২৪৮ রানের জবাব দিতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মুমিনুল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ১৮ বলে ২৭ রান করে আউট হওয়ার পর মুমিনুল ফেরেন ২৯ রান করে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফিফটির দেখা পান ইমরুল। ৮১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দীর্ঘদিন পর সাবলীল ব্যাটিং করেন মুশফিক। ইমরুলের মতো ফিফটির স্বাদ পান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মোসাদ্দেক হোসেন ২৮ রান করে আউট হলে পরে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মুশফিক। ৬ উইকেট ও ১৩ বল হাতে রেখে জয় পায় ‘এ’ দল। মিঠুন ২৮ ও মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে। এইচপির হয়ে সুমন খান সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

টিআইএস/এটি