একুশ শতকে পাল্টে গেছে অনেক কিছুই। এখন সবকিছু যেন চটজলদি হওয়া চাই। সাফল্য, তাও শর্টকার্ট রাস্তায় পেতে উন্মুখ হয়ে থাকি আমরা। কে জানে এ কারণেই হয়তো ক্রিকেটেও তারই ছাপ। টেস্ট আর ওয়ানডেকে ছাপিয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেট বড্ড বেশি টানছে এই প্রজন্মকে।

পাঁচদিনের ক্রিকেট কিংবা ১০০ ওভারের ম্যাচে একটানা চোখ রাখার সময়ই বা কোথায়? টি-টোয়েন্টিই যেন বিনোদনের সব পসরা নিয়ে হাজির। চার-ছক্কার স্রোত স্রোতস্বিনী নদীর মতোই বয়ে যায়, ম্যাচের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে!

আকাশ ছোঁয়া রোমাঞ্চ ২০ ওভারের ওই ক্রিকেটে। তাই তো ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই এখন পয়সা উসুল। আর টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ হলে তো কথাই নেই। উৎসবের রঙের সঙ্গে একটা যুদ্ধের আবহ। এই সময়ে এসে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কোথায় পাবেন বলুন তো? প্রতিবেশী দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা এতোটাই ভয়াবহ যে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ মিশন ইমপসিবলের চেয়েও বেশি কিছু! 

ঠিক এমন সময়ে বিশ্বকাপই খুলে দেয় যতো অসম্ভবের দুয়ার। সেই বিশ্বকাপ নির্মল বিনোদন আর দারুণ উত্তেজনা ফের কড়া নাড়ছে যাপিত জীবনে। করোনাকালে যদিও সব স্বাভাবিক হতে পারেনি এখনো। অদৃশ্য সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে মানুষ। তাই বলে তো আর সবকিছু থামিয়ে রাখা যায় না। যে বিশ্বকাপটা হওয়ার কথা ছিল ভারতে, সেটিই করোনার কারণে চলে গেলো মধ্যপ্রাচ্যে। 

জৈব সুরক্ষা বলয় নামের সেই বেহুলার বাসর ঘর সাজিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের সক্ষমতা ছিল না ভারতের। তাইতো ওমান আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসছে ১৬ দলের বিশ্ব যুদ্ধ। টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরার লড়াই। যেখানে থাকছে বাংলাদেশও। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মিশন। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিশেষ আয়োজনের উদ্বোধন উপলক্ষে কেক কাটছেন ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও অন্যান্য সহকর্মীরা।

সুপার-টুয়েলভ মানে মূল পর্বটা অবশ্য শুরু হচ্ছে দিনকয়েক পর ২৩ অক্টোবর। ৪৫ ম্যাচের লড়াই ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর। এই লম্বা ক্রিকেট ভ্রমণ নিশ্চয়ই রোমাঞ্চিত করছে আপনাকেও। কারণ বাংলাদেশও যে প্রত্যাশার বেলুন উড়িয়ে উড়াল দিয়েছে মরুর দেশে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলটা অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে গড়া। যারা চোখে চোখ রেখে লড়তে জানে সেরাদের সঙ্গেও। দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারানোর তাজা স্মৃতি তো সঙ্গেই আছে। এই দলটা নিয়ে প্রত্যাশার নাটাই ছাড়তেই পারেন।

আমরাও চোখ রাখছি টাইগার শিবিরে। মাঠে লড়বেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকুর রহিমরা, ঢাকা পোস্ট লড়বে অন্তর্জালে। আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ঢাকা পোস্টের রয়েছে বড় পরিকল্পনা। টি-টোয়েন্টি মানেই প্রতি ওভারে রোমাঞ্চে ঠাসা ধুন্ধুমার ক্রিকেট। মাঠ ও মাঠের বাইরে ভরপুর উত্তেজনা। কতোশত নিউজ, ভিডিও, বিশেষ প্রতিবেদন। 

এই টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আপডেট, মাঠ ও মাঠের বাইরের মজার সব ঘটনা, রেকর্ড কর্নার, ম্যাচ রিপোর্ট ও বিশ্লেষণ নিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা থাকবো ঢাকা পোস্টের খেলা বিভাগে। আপনাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ঢাকা পোস্টের ‘বিশেষ পোর্টাল’ টি-টোয়েন্টির বিশ্ব যুদ্ধ। (https://www.dhakapost.com/t20-world-cup)

সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে আমরা ঢাকা পোস্ট ক্রীড়া বিভাগ প্রস্তুত। আমি আপন তারিক, মাঠ ও মাঠের বাইরের তরতাজা আর ভিন্নস্বাদের খবর তুলে আনতে যাচ্ছি সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তিন ভেন্যু থেকেই থাকবে সরব উপস্থিতি। আর ঢাকায় থাকছেন- সিনিয়র রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের, ক্রিকেট রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম সজল, স্পোর্টস রিপোর্টার নেয়ামত উল্লাহ, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, ইশতিয়াক আনাম খান ও আল মামুন ফাহিম।

আমরা থাকছি বিশ্বকাপের সব খবর নিয়ে। ‘বিশেষ পোর্টাল’ আয়োজনে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে সাত দিন... সব সময়। সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমী পাঠকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ কুইজ তো থাকছেই। যেখানে অংশ নিয়ে আপনি জিতে নিতে পারবেন লোভনীয় পুরস্কার!

কথায় আছে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে হয়, না হয় শঙ্কা থাকে পিছিয়ে পড়ার। যুগের সঙ্গে পথচলে সঙ্গে আছি আপনাদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরোটা সময় জুড়ে লড়ে যেতে চাই আমরা। ছুঁতে চাই পাঠকের প্রত্যাশার আকাশ। জানি এই লড়াইটা সহজ নয়, তবে আপনারা সঙ্গে থাকলে সেই কঠিন পথ পাড়ি দেওয়াও সম্ভব। ঢাকা পোস্ট -এর সঙ্গেই থাকুন। কথা দিচ্ছি, জিতবেন আপনিও। 

এটি/এমএইচ