৩৫ রান তুলতেই পাপুয়া নিউ গিনির অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে দারুণ এক কামব্যাকই করে বসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটি। তবে শেষরক্ষা হলো না, শেষমেশ স্কটল্যান্ডের কাছে ১৭ রানে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ওশেনিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রটির। 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কটিশরা। ২৬ রান তুলতেই হারিয়ে বসেছিল দুই ওপেনারকে। তবে তিনে নামা ব্যাটার ম্যাথিউ ক্রস, আর মিডল অর্ডার ব্যাটার রিচি বেরিংটনের কল্যাণে দারুণ এক জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্কটিশরা। দু’জনে মিলে ১০.৫ ওভারে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৯২ রান। দলও শুরুর নড়বড়ে অবস্থান ছেড়ে ম্যাচের লাগাম হাতে নেয়। ক্রসের ভুল শটে শেষমেশ ইতি ঘটে সেই জুটির। সিমন আতাইয়ের বলে বিদায় নেন ক্রস, তখন অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে ছিলেন তিনি।  

সঙ্গী না পারলেও ফিফটি ঠিকই তুলে নেন বেরিংটন। ফিফটি তো তুলেছেনই, এরপর ১৯ ওভার পর্যন্ত দলকে টেনেছেনও তিনিই। শেষমেশ তার ইনিংস শেষ হয় ৪৮ বলে ৭০ রান করে। 

১৯.২ ওভারে তার বিদায়ের পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্কটিশদের ইনিংস। শেষ দশ বলে ছয় উইকেট হারিয়েছে দলটি, স্কোরবোর্ডে তখন যোগ হয়েছে মাত্র ১৫ রান। তাতে আরও বড় পুঁজি পাওয়া হয়নি দলটির, ১৬৫ রান তুলেই ক্ষান্ত হতে হয় তাদের।

১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাপুয়া নিউ গিনি হোঁচট খায় শুরুতেই। রানের সংখ্যাটা দুই অঙ্কে তোলার আগেই বিদায় নেন দুই ওপেনার টনি উরা (২) আর লেগা সিয়াকা (৯)। 

আগের ম্যাচে এমন পরিস্থিতি থেকে দলকে রক্ষা করেছিলেন আসাদ ভালা, আর চার্লস আমিনি। এদিন ব্যর্থ এই দু’জনও। আসাদ ১১ বলে ১৮, আর আমিনি বিদায় নেন এক রানেই। সিমোন আতাইও ফেরেন এক অঙ্কের ঘরেই। ৩৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ঘোর বিপদেই পড়ে যায় পাপুয়া নিউ গিনি।

সেসে বাউ একটা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার ২৩ বলে ২৪ রানের ইনিংসও শেষ দেখে ফেলে শিগগিরই। ৬৭ রানে ৬ উইকেট রীতিমতো ধুঁকতে থাকে দলটি।
এরপরই নরমান ভানুয়া আর কিপলিন দরিগার প্রতিরোধ। ঠিক প্রতিরোধও নয়, পাল্টা আক্রমণ। ২৮ বলে দু’জন মিলে তুললেন ৫৩ রান। শেষ হয়ে যাওয়া আশাটা ফের জেগে ওঠে পাপুয়া নিউ গিনি শিবিরে।

১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে দলের রানের খাতায় জমা পড়ল ১২০। তখন চার ওভারে দলটির দরকার ছিল ৪৫ রান, টি-টোয়েন্টির বিচারে তো তা খুবই সম্ভব।
কিন্তু শেষতক তা আর সম্ভব হয়নি স্কটিশদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুবাদে। ১৭তম ওভারে এসে দরিগা বিদায় নেন মার্ক ওয়াটের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে।

ভানুয়াও বিদায় নেন একটু পরেই। ৩৭ বলে ৪৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পরও চাদ সপার আর কাবুয়া মোরেয়ারা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের চেষ্টাও কাজে আসেনি। শেষমেশ দলটা হারে ১৭ রানের ব্যবধানে।

এনইউ