ক্রিকেটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও দর্শক বান্ধব করতে বেশকিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এর একটি প্রতি মাসের সেরা পারফর্মার বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে ধারাবাহিকতায় অক্টোবর মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বাংলাদশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসা ও পাকিস্তানের আসিফ আলী।

আইসিসি আজ (মঙ্গলবার) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, ভোটাভুটিতে সাকিব-ভিসাকে হারিয়ে অক্টোবর মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। নারী বিভাগে মাস সেরার খেতাব জিতেছেন আয়ারল্যান্ডের লরা ডেলানি। তিনি পেছনে ফেলেছেন স্বদেশি ক্রিকেটার গ্যাবি লুইস ও জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার ম্যারি-অ্যান মুসোন্দাকে।

আসিফ আলী পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে কেন ঠাঁই পেয়েছেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অথচ আসিফের ব্যাটেই বাজিমাত করে চলেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দোলাচলে থাকা ম্যাচে বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের শঙ্কা জাগা অবস্থায় নেমে এক ওভারে ৪টি ছক্কায় কঠিন সমীকরণ সহজ করে পাকিস্তানকে জিতিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আলো নেন নিজের উপর। এর পুরস্কার স্বরূপ অক্টোবর মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে জায়গা পান আসিফ। এবার তো করলেন বাজিমাত।

এদিকে অক্টোবর মাসে সাকিব সর্বোমোট ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যেখানে প্রায় ১১০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট হাতে করেন ১৩১ রান। বোলিংয়েও অনবদ্য ছিলেন সাকিব। ওভার প্রতি ৬-এর নিচে রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ১১ উইকেট। যদিও বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব খুব একটা ভালো যায়নি সাকিবের। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন দলের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই। সাকিবের এমন পারফরম্যান্স মন গলাতে পারেনি ভোটারদের।

এর আগে গত জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সাকিব। সেবার এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার মনোনয়ন পেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে সফরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিবেচনায়। টেস্টে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে না পারলেও বল হাতে নেন ৫ উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটসহ ৩ ম্যাচ সিরিজে ৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন তিনি। এক ম্যাচে খেলেন অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস। সেবার অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রকে হারিয়ে মাস সেরা হন সাকিব।

টিআইএস