প্রতিভার দোহাই দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা ধরে রেখেছিলেন সৌম্য সরকার আর লিটন কুমার দাস। এই দুই ক্রিকেটারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল না। তবে সামর্থ্যর প্রয়োগ ঘটাতে পারছিলেন না তারা। তাদের ব্যাটিংয়ের ধরণ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ধারাবাহিকতার অভাব ছিল প্রকট। বিশ্বকাপের মঞ্চেও সুবিধা করতে পারেননি দুই জন। এজন্য ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করতে গিয়ে নাম নিলেন না সৌম্য-লিটনের। তাদের বাদ পড়ার কারণ হিসেবে তিনি কাঠগড়ায় তুললেন তাদের পারফরম্যান্সকে। ফেরার প্রক্রিয়া জানাতে গিয়ে নান্নু বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে যোগ্যতা প্রমাণ দিতে হবে আগে।

আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে নান্নু বললেন, ‘সামনে আমাদের বিপিএল আছে, ঘরোয়া ক্রিকেট আছে। সবাই পারফর্ম করবে। কেউ তো নজরের বাইরে যাবে না। যারা বাইরে আছে তাদের চোখে চোখে রাখতে হবে, একটা সিস্টেমে রাখতে হবে। জাতীয় দলের পর এ দলের কর্মসূচি চলছে, তারপর এইচপি আছে। যেখানে যাকে দরকার হবে, ওখানে রেখেই প্রস্তুত করা হবে।’

১৯ নভেম্বর থেকে সিরিজ শুরু হবে। অথচ দল দিতে অনেক বেশি দেরি করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দফায় দফায় বৈঠকেও সুরাহা হচ্ছিল না। দল সাজাতে কতটা ছাপ অনুভব করেছেন নির্বাচকরা?

নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘একটা দল দিতে গেলে তো সব ধরনের আলোচনা হয়। আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্বকাপে এমন পারফরম্যান্স আমরা প্রত্যাশা করিনি। আমাদের দল কিন্তু এতটা খারাপ ছিল না। আপনি বলতে পারবেন না দল খারাপ। সবাই কিন্তু এর আগে ঘরের মাঠে আমাদের যথেষ্ট আনন্দ দিয়েছে, ভালো খেলেছে, রোমাঞ্চকর পারফর্ম করেছে। এই খেলোয়াড়দের অবশ্যই সমর্থন করতে হবে।’

সঙ্গে যোগ করেন প্রধান নির্বাচক, ‘বিশ্বকাপে খারাপ করেছে বলে একেবারে ফেলে দিব এরকম হতে পারে না। আমরা অনেক আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হচ্ছে। আগামী বছর আরেকটি বিশ্বকাপ আছে। বিপিএলের পরপরই সেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে। এই সিরিজ ভালো করলে সামনের পথচলা সহজ হবে।’

টিআইএস/এনইউ