তখনও দল ঘোষণা হয়নি। গত কয়েকদিন প্রায় ২০ জনের অধিক ক্রিকেটার নিয়ে অনুশীলন চলেছে। আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল অনুশীলন শুরু করে দুপুর ১টার দিকে। অনুশীলনে নামা ক্রিকেটারের সংখ্যা ১৬ জন। অনুমান করা সহজ হলো অনুশীলনের জার্সি পরা ১৫ ক্রিকেটারের সঙ্গে হয়তো স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হবে লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেনকে।

বেলা সাড়ে ৪টায় দল ঘোষণায় ১৫ জনের নাম ঠিকই বললেন প্রধান নির্বাচন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সঙ্গে ১৬ নম্বর সদস্য হিসেবে বললেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলীর নাম। যেখানে এ একদিনের অনুশীলনে আকবর কোথাও ছিলেন না, সেখানে তার নাম শুনে অনেকেই অবাক হন। 

১৫ জনের স্কোয়াডে বাড়তি উইকেটরক্ষক না থাকাতেই আকরবকে দলে নেওয়ার যুক্তি দিলেন নান্নু। খেলানো বা না খেলানোর সিদ্ধান্ত চাপালেন টিম ম্যানেজমেন্টের উপর।

নান্নু বললেন, ‘সোহান কিন্তু আমাদের এক নম্বর উইকেটরক্ষক। এখানে ইনজুরির ব্যাপার আছে, সোহান ছাড়া দলে আর কোনো উইকেটরক্ষক নেই। সেই হিসেবে আকবরকে রাখা হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে ওকে খেলাতে পারবে।’

সঙ্গে যোগ করেন নান্নু, ‘ওর পারফরম্যান্সের চেয়ে উইকেটকিপিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিপিংয়ের কথা চিন্তা করে ওকে ব্যাকআপ হিসেবে নিয়েছি। আমরা এখনও কিন্তু বলছি না ও খেলবে। যদি মূল কিপার ইনজুরিতে পড়ে তখন ওর কথা চিন্তা করা হবে। ওকে স্কোয়াডের সাথে রেখে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করাও গুরুত্বপূর্ণ।’

লিখন না থাকলেও লিগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবার টিকে গেছেন। স্কোয়াডে থাকলেও এই তরুণ তুর্কি একাদশে সুযোগ পাবেন কীনা সে নিয়ে শঙ্কার কথা শোনালেন নান্নু। তবে দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে থাকা ইয়াসির আলীকে নিয়ে বেশ ইতিবাচক তিনি।

বিপ্লব প্রসঙ্গে নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘ঘরের মাঠে যতগুলো খেলা হয়েছে বিপ্লব সবসময়ই স্কোয়াডে ছিল। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি চায় খেলাবে। আমরা মনে করি একটা লেগ স্পিনার আমাদের দরকার। দেখা যাক ওকে দিয়ে শুরু করা যায় কি না।’

ইয়াসির রাব্বিকে নিয়ে নান্নু বললেন, ‘একটা খেলোয়াড় দলে থাকতে থাকতে খেলার সুযোগ না পেলে...। খেললে বোঝা যাবে কতটুকু উন্নতি করেছে। আমার বিশ্বাস টিম ম্যানেজমেন্ট ওকে নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। যখনই আলোচনা করি, সবাই ওর পক্ষে বলে। আশা করি এবার সুযোগ আসবে এবং ওকেও সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে।’

টিআইএস/এনইউ