নিগার সুলতানা জ্যোতি/ফাইল ছবি

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ খেলতে পারেনি কখনোই। তবে দলের সে বাস্তবতা বদলে যেতে পারে এবার। অধিনায়ক নিগার সুলতানাই ওড়ালেন সে আশার ফানুস।

আজ ২১ নভেম্বর নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নেমেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। বি গ্রুপে নিগার সুলতানাদের বাকি সব প্রতিপক্ষ হচ্ছে জিম্বাবুয়ে, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এখানে এক পাকিস্তান ছাড়া বাকি সবাই আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে আছে বাংলাদেশের নিচে। 

সে কারণে না হলেও অধিনায়ক নিগার জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ সেরা সুযোগটা এবারই। আজ রোববার নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামার ঠিক আগে ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘আমি মনে করি, এবারই বাংলাদেশের বিশ্বকাপে নাম লেখানোর সেরা সুযোগ। এবার আমাদের সবাই একটা স্বপ্ন নিয়েই এখানে এসেছি, সেটা ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলা। বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য মনে রেখেই আমরা কাজ করছি। আর আশা করছি আমরা সেখানে ভালো করব।’

প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র হওয়ায় প্রতিপক্ষের শক্তিসামর্থ্য সম্পর্কে খুব একটা জানাশোনা নেই বাংলাদেশের। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক। বললেন, ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ এগতে চাই আমরা। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথাই ধরুন, সেখানে আমরা দেখেছি, ক্রিকেটটা সবার খেলা, অনিশ্চয়তার খেলা। আমরা তাই কাউকে হালকাভাবে দেখতে পারব না। যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানের শক্তি সম্পর্কে ভালো জানি না আমরা। শুধুমাত্র মিডিয়ায় কিছু দেখেছি, খেলা সামনাসামনি দেখিনি।’

বিশ্বকাপের আগে দায়িত্ব পাওয়া নিগার জানালেন, দলের সিনিয়র তিন ক্রিকেটার সালমা খাতুন, জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদের উপস্থিতি কাজটা সহজ করে দেবে তার। বললেন, ‘আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রস্তুতি ম্যাচে হোক, কিংবা যে কোনো টুর্নামেন্টে যখনই তারা আমার অধীনে খেলেছেন, তখনই তাদের পরামর্শ আমি নিয়েছি। তারাও আমাকে অনেক ক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তাদের সাহায্য পাবো বলে আশা করি।’

এনইউ/এটি