অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিরিজ। তাও আবার দু’দিন আগেই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে আসা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই কিউইদের ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড় যুগের সূচনা করেছে ভারত। তবে দলের এমন ফলাফলের পরও অবশ্য মন ভরছে না অধিনায়ক রোহিতের। আরও উন্নতি চাইলেন দল থেকে।

ম্যাচের পর ভারত অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, প্রথম সিরিজে ভাল ভাবে শুরু করাই তার লক্ষ্য ছিল। বলেছেন, ‘যে কোনো অধিনায়কই চাইবেন প্রথম সিরিজটা জিতে ভালোভাবে শুরু করতে। আমিও সেটাই চাইছিলাম।’

শীতের আগমনী বার্তা মিলছে এখন। প্রভাবটা পড়ছে ক্রিকেটেও। বিশেষ করে রাতের ম্যাচগুলোতে শিশির হানা দিচ্ছে হরহামেশাই। যেখানে সময় গড়ানোর সাথে সাথে শিশিরের দৌরাত্ম্যও বাড়ে পাল্লা দিয়ে। পরে ব্যাট করা দল পায় বাড়তি সুবিধা। এমন পরিস্থিতিতেও গতকাল ভারত টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 
কেন এমন সিদ্ধান্ত ছিল, তা ম্যাচশেষে জানালেন রোহিত। বললেন, ‘পিচ দেখার পরেই বুঝে গিয়েছিলাম আমাদের কী করতে হবে। বল দারুণ ভাবে ব্যাটে আসছিল। শিশিরের প্রভাবও শুরু থেকে টের পাওয়া যাচ্ছিল।’

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার ফিফটিতে ভালো শুরু পায় ভারত। মিডল অর্ডার খানিকটা ব্যর্থ হলেও লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় বড় স্কোরই দাঁড় করায় ভারত। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতাই মূলত রোহিতের মন না ভরার কারণ। জানালেন, আরও উন্নতির সুযোগ আছে। রোহিতের ভাষ্য, ‘ব্যাটিং নিয়ে আমরা অনেক পরিকল্পনা করেছি। সবই যে আজকের ম্যাচে কাজে লেগেছে তেমন দাবি করছি না। বিশেষত মিডল অর্ডারে এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে।’

মিডল অর্ডার নিয়ে অতৃপ্তি থাকলেও রোহিতকে সন্তুষ্ট করেছে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং পারফরম্যান্স। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বেশিরভাগ দলই অন্তত আট, নয় নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে খেলে। হরিয়ানার হয়ে খেলার সময় হর্ষল ওপেন করে। দীপক ব্যাট হাতে কী করতে পারে সেটা আমরা শ্রীলঙ্কা সিরিজেই দেখেছি। চাহালকেও ব্যাট হাতে ভাল লাগছিল। প্রত্যেকে কোনো না কোনো ভাবে সাহায্য করুক, এটাই আমি চাই।’

শিশিরভেজা মাঠে পিচ্ছিল বল নিয়ে বোলিং করা সহজ নয়। এমন পরিস্থিতিতেও ভারত নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করেছে মাত্র ১১১ রানেই। যার ফলেই এসেছে ৭৩ রানের বিশাল এই জয়।

এমন জয়ের পর বোলারদের প্রশংসাও করেছেন রোহিত। তার কথা, ‘অশ্বিন যে ভাবে বল করেছে তা দুর্দান্ত। অক্ষরকেও ধন্যবাদ দেব। চাহালও দারুণ প্রত্যাবর্তন করল। তবে আলাদা করে বলব ভেঙ্কটেশ আইয়ারের কথা। মাঝের ওভালগুলোতে নিজের দক্ষতাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে।’

এনইউ