ম্যাচ তখন উত্তেজনায় ভরপুর। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। রিয়াদ প্রথম বল ডট দেওয়ার পরের দুই বলেই তুলে নেন হায়দার আলি ও সরফরাজ আহমেদের উইকেট। 

কিন্তু চতুর্থ বলেই ইফতেখার আহমেদ হাঁকান ছক্কা। শেষ দুই বলে তখন ২ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। পঞ্চম বলেই ইফতেখারকে আউট করে দেন রিয়াদ। শেষ বলে মুখোমুখি মোহাম্মদ নেওয়াজ। দুই রান নিলে ম্যাচ জিতে যাবে পাকিস্তান আর এক রান নিলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে।

বাংলাদেশের জয়ের জন্য তখন ডট চাই যে করেই হোক। ফিল্ডিং প্রস্তুত করলেন রিয়াদ, নিজেদের মধ্যে কথা বললেন ব্যাটসম্যানরাও। রিয়াদ বলও ছুঁড়লেন ঠিকঠাক, কিন্তু বল মাটিতে ড্রপ করার পর সরে যান ব্যাটসম্যান নেওয়াজ। স্টাম্পে আঘাত হানে বল। 

অনেকের মনেই প্রশ্ন নেওয়াজ কি আউট ছিলেন? এ নিয়ে বাক্য বিনিময় হয় রিয়াদ ও নেওয়াজের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের ব্যাখ্যা মেনে নেন রিয়াদ। তাই এটি আর আউট নয়। আম্পায়ারও বলটিকে ডেড বল হিসেবে ঘোষণা দেন।

এমনিতেও রিয়াদ বল করেছিলেন এক পা পেছন থেকে। সেটি যেকোনো বোলার চাইলে করতেই পারেন। তবে ব্যাটসম্যানও অস্বীকৃতি জানাতে পারেন খেলতে। আম্পায়ারও ঘোষণা করতে পারেন ডেড বল হিসেবে।

তবে আজ যেটা হয়েছে, বেশ দেরি করে সাড়া দিয়েছেন নেওয়াজ। রিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে, বল জোনে না পেয়েই এমনটি করেছেন তিনি। রিয়াদ চাইলে আবেদন করতে পারতেন আবারও। কিন্তু স্পোর্টসম্যানশিপের কারণেই সেটি করেননি তিনি। 

ম্যাচটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত জিতে নেয় পাকিস্তান। মাহমুদউল্লাহর ওই বলে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন নেওয়াজ। ৫ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা। এই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান।

এমএইচ/এটি