সব থেকেও যেন কিছু একটা নেই! পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত চালকের আসনে বসিয়ে রাখা যায় বাংলাদেশ দলকে। তবুও আক্ষেপ তো কিছুটা থেকেই যায়, যে আক্ষেপ গ্যালারিতে বসা সমর্থকদের মনেও। যদি চট্টগ্রাম টেস্টে থাকতেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান! তবে জয়ের লক্ষ্যে কাজটা কিছুটা হলেও সহজ হতো স্বাগতিকদের।

সেই যে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন সাকিব, ফেরা হয়নি এখনো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়ে দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে মাঠে নামেননি সাকিব। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সোজা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান পরিবারের কাছে। সেখান থেকে দেশে ফিরলেও চট্টগ্রাম টেস্টে নামতে পারেননি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সুস্থ না হওয়ায় খেলতে পারেননি সাকিব। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টে খেলবেন সাকিব? ফিটনেস পরীক্ষা করতে সোমবার সকালে মিরপুরে হাজির তিনি। দিয়েছেন ফিটনেস পরীক্ষা। জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি চট্টগ্রামে থাকায় স্থানীয় ট্রেনারের অধিনেই এই টেস্ট দিয়েছেন সাকিব।

ফিটনেস টেস্টের রিপোর্ট গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগে। বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ থেকে ঢাকা পোস্টকে জানানো হয়েছে সাকিবের সেই রিপোর্ট এখন টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। নির্বাচকরা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, এই টেস্টে সাকিবকে বিবেচনা করা হবে কিনা।

এক নির্বাচক অবশ্য ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, সাকিবের মতো ক্রিকেটার কে না দলে পেতে চাইবে। সে ফিট হলে অবশ্যই ঢাকা টেস্ট খেলবে। তবে সে সিদ্ধান্ত হবে রিপোর্ট দেখার পর।

এদিকে বোর্ডের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সাকিবের খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত যতটা না বোর্ডের, টিম ম্যানেজমেন্টের, তার থেকে বেশি নির্ভার করছে সাকিবের পর। তার ফিটনেসের যে অবস্থা, তাতে সে নিজে যদি মনে করে খেলবে, তাহলে খেলতে পারে, যদি মনে করে ঝুঁকি না নিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়ে তবেই মাঠে নামবে, সেটিও তারই সিদ্ধান্ত। এখন দেখার অপেক্ষা, ঢাকা টেস্টের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে সাকিবের নাম থাকে কিনা!

টিআইএস/এটি/এনইউ