ক্রীড়াবিদদের মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বছরের মাঝপথে ইউরো ২০২০ এর ম্যাচ চলাকালে মাঠেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, পরে জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর বার্সেলোনা স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো অজ্ঞান না হলেও একই সমস্যায় মাঠ ছেড়েছিলেন, যে কারণে পরে ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে যায় তার। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলি। 

গতকাল মঙ্গলবার প্রথম শ্রেনির টুর্নামেন্ট কায়েদ-এ-আজম ট্রফিতে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাট করছিলেন আবিদ। তখনই প্রথম বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এর কিছু পরে আবারও একই জায়গায় বুকে ব্যথা অনুভব করেন আবিদ। এরপরই দলের ম্যানেজার আশরাফ আলির তত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা ও অন্যান্য পরীক্ষার জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছু পরেই জানা যায় হৃদযন্ত্রের সমস্যায় পড়েছেন আবিদ।

এক বিবৃতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে বিষয়টি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অ্যাকিউট করোনারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি কনসাল্টেন্ট কার্ডিওলজিস্টের অধীনে আছেন, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল দলের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। তবে আবিদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে।’ হঠাৎই হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল কমে যাওয়াকেই সাধারণত অ্যাকিউট করোনারি সিন্ড্রোম বলা হয়।

পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটার ও বর্তমানে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের ব্যবস্থাপক আশরাফ ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘সে আজ সকালে ৬১ রানে ব্যাট করছিল। তখনই পরপর দুইবার বুকে ব্যথা হয় তার। আমাদের তখন মনে হয়েছে এই পরিস্থিতিতে ওকে হাসপাতালে পাঠানোই শ্রেয়। তাকে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা এবং বেশ কিছু তার পরীক্ষাও করা হচ্ছে।’

৩৪ বছর বয়সী আবিদ আলি এই ব্যাটার খাইবার পাখতুনের হয়ে নয় হাজারেরও বেশি রান করেছেন পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। চলতি মৌসুমের শুরুতে তিনি নাম লেখান সেন্ট্রাল পাঞ্জাব দলে।

এর আগে বাংলাদেশে খেলে যাওয়া সিরিজেও বেশ ছন্দে ছিলেন তিনি। ৩ ইনিংস খেলে একটিতে সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে তাকে ম্যাচসেরা ঘোষণা করা হয়, পরে সিরিজসেরার পুরস্কারও জেতেন তিনিই। তবে দেশে ফিরে সে সুসময়টা টিকল না তার। আক্রান্ত হলেন হৃদরোগে।

এনইউ