বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে একজন লেগ স্পিনারের আক্ষেপ দীর্ঘদিনের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেখানে লেগ স্পিনারদের দাপট, সেখানে টেস্ট খেলুড়ে একমাত্র দল হিসেবে কোন লেগ স্পিনার ছাড়াই খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ফলাফল সুখকর হয়নি। এমনকি এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দলেও নেই কোন লেগ স্পিনার। অথচ বাংলাদেশে যে লেগ স্পিনারের আকাল এমনটিও নয়!

একজন ভালো মানের লেগ স্পিনারের শূন্যতা দূর করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেটিরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে বিসিবি জাতীয় লিগে লেগ স্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করে। তবে রংপুর আর ঢাকা দল প্রথম দুই রাউন্ডে কোন লেগ স্পিনার খেলায়নি। তার মাশুল হিসেবে দুই দলের দুই কোচকে বরখাস্ত করেছে বিসিবি।

চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও নেই লেগ স্পিনারদের মূল্য! চার‍টির মধ্যে দুটির মালিকানায় বিসিবি। অথচ চারটি দলে লেগ স্পিনার খেলছেন কেবল ২ জন। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আর তানভীর হায়দার বিসিবি উত্তরাঞ্চলের নাম লেখালেও ম্যাচ পাচ্ছেন না। বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে দুজন খেললেও ১৩০ ওভারের মধ্যে বিপ্লব বোলিং পেয়েছেন ১১ ওভার, তানভীর করেন ৪ ওভার। জায়গা হারান দ্বিতীয় রাউন্ডেই।

লেগ স্পিনার না খেলানো প্রসঙ্গে আজ (বুধবার) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জানতে চাওয়া হলে অসহায়ত্ব দেখা গেল পাপনের কণ্ঠেও। সংবাদমাধ্যমকে পাপন জানালেন, তাকে লেগ স্পিনার খেলানোর কথা দিয়েছিল দলগুলো।

পাপনের জবাব, ‘এই জিনিসটা গত তিন-চার বছর ধরে বলে আসছি। বিসিএলেও খেলায় না, বিপিএলেও খেলায় না কোনো খেলাতেই খেলায় না। কোনোভাবেই এটা সমর্থনযোগ্য নয়। আমাকে বলা হয়েছিল খেলানো হবে। এটা আপনাদের কাছে এখন শোনলাম যে খেলানো হয়নি। তবে এটুকু আপনাদের বলতে পারি খেলবে। এইবারই হবে কি না জানি না তবে খুব শিগগিরই তাদের খেলানো হবে।’

বাংলাদেশে যে লেগ স্পিনারের আকাল তেমনটিও নয়। এবার বিসিএল তো বটেই, জুবায়ের হোসেন লিখম, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি, রিশাদ হোসেনরা খেলার সুযোগ পাননি জাতীয় ক্রিকেট লিগেও।

আক্ষেপ নিয়ে পাপন বললেন, ‘একটা সময় ছিল আমাদের লেগ স্পিনার ছিল না কিন্তু এখন আছে। তাদেরকে যদি ইনক্লুড করতে (জাতীয় দলে) হয় তাদেরকে ম্যাচ খেলতে দিতে হবে। খেলতে খেলতেই তারা ভালো হবে, এটা হলো স্বীকৃত পদ্ধতি। আমরা শুধু লেগ স্পিনার না আরও কয়েকটা জায়গায় স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্টের কথা ভাবছি।’

টিআইএস/এমএইচ