নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে নিজেদের যুব এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ (শনিবার) টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে টাইগার যুবারা। হারিয়েছে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।

গ্রুপ পর্বে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেমিফাইনালেও এক পা দিয়ে রেখেছে রাকিবুল হাসানের দল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।

আজ আগে ব্যাট করে মাহফিজুল ইসলামের স্বেঞ্চুরির কল্যাণে স্কোর বোর্ডে ২৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ২৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কুয়েতের। শ্লথ রানের গতি শুরু থেকেই ভুগিয়েছে দলটিকে। পঞ্চম ওভারে দলীয় ৫ রানে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুশফিক হাসান। এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে কুয়েত। শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ৬৪ রানে। 

দলের পক্ষে দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন মাত্র দুজন। এক প্রান্ত আগলে রেখে প্রতিরোধ গড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা ওপেনার মিত ভাসার ৭৭ বলে ৪৩ রান করেন। ২৭ বলে ১১ রান করেন মির্জা আহমেদ। বাংলাদেশের পক্ষে রিপন মণ্ডল শিকার করেন ৩ উইকেট। এছাড়া মেহরাব হোসেন অহীন ও অধিনায়ক রাকিবুল হাসান ২টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারে মির্জা আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। তিনে নামা আইচ মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মাহফিজুল। সাবধানি শুরু করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পরে রানের গতিতে দম দেন। ৮৪ রানের জুটি ভাঙে আইচের বিদায়ে। কট বিহাইন্ড হন তিনি ৩৯ বলে ৩ চারে ২০ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙে ৮৪ রানের পার্টনারশিপ।

এরপর আরিফুল ইসলাম ক্রিজে নেমে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। ২৪ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকেও। আরিফুলের আউটের পরেও দলের রানের গতি শ্লথ হতে দেননি মাহফিজুল। অপর প্রান্তে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন গাজী মোহাম্মদ তাহজিবুল ইসলাম। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের এক ফাঁকে ১০৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন মাহফিজুল। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর এগোয়নি মাহফিজুলের ইনিংস। সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলের মোকাবেলায় করেন ১১২ রান করে।

শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন মেহরাব হোসেন অহীন। ২৪ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান করেন তিনি। পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে ৪ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ২৯১ রানে।

টিআইএস/এটি