আর মাত্র ৬ দিন। এরপরেই পর্দা উঠবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের। করোনাভাইরাসের মধ্যে বিপিএল, মাহামারির কারণে এক বছর মাঠে গড়ায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এজন্য এবার বাড়তি সতর্ক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ভাইরাসটির দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন ওমিক্রনের কারণে সতর্কতা আরো বেড়েছে। তবুও আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বিপিএল খেলতে আসা ক্রিকেটাদের বিধিনিষেধ শিথিলের জন্য সরকারের দ্বারস্থ বিসিবি।

আফ্রিকা মহাদেশের ৮টি দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। এবার সেখান থেকে ফাফ ডু প্লেসি, কলিন ইনগ্রাম, ক্যামেরুন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজাদের বিপিএল মাতাতে আসার কথা। বিসিবি তাদের কোয়ারেন্টাইন শিথিলতার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে। মিলেছে ইতিবাচক বার্তাও। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র মেলেনি।

ঢাকা পোস্টকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলছিলেন, ‘আমরা একটা চিঠি দিয়েছি। গত ৩ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় একটা মিটিং ছিল। এরপর তারা আমাদেরকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তবে আমরা এখনো চিঠিটি হাতে পাইনি, আশা করছি আগামী রোববার হাতে পাব। যদি শিথিল হয় সেক্ষেত্রে তাদের জন্য বাড়তি বিধিনিষেধ থাকছে না।’

আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি বিপিএল দলগুলোর হোটেলে ওঠার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে ১৭ তারিখ হচ্ছে। স্থানীয় ক্রিকেটার আর সাপোর্ট স্টাফের সদস্য যারা দলের সঙ্গে থাকবেন তাদের জন্য ১ বার নেগেটিভ হলেই হোটেলে উঠার সুযোগ থাকছে। বিদেশিদের পরীক্ষা দিতে হবে দুবার।

এ নিয়ে দেবাশিষ বলেন, ‘এবার খুবই সহজ প্রক্রিয়া। সব ক্রিকেটারকে ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। তারা হোটেলে উঠার আগে একবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাবে। ফল নেগেটিভ এলে হোটেলে উঠে যাবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের ডাবল ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে এবং এখানে এসে দুই বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা দিতে হবে। ‌রেজাল্ট নেগেটিভ এলে তারাও হোটেলে উঠে যাবে।’

বিপিএল এবার হবে ৩টি ভেন্যুতে। সব মিলিয়ে ঢাকার বাইরে ৪ বার আসাযাওয়া করতে হবে দলগুলোকে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবার ভ্রমনের পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করানোর ভাবনা আছে ক্রিকেট বোর্ডের।

দেবাশিষ বলেন, ‘এবার উপসর্গ দেখা দিলে টেস্ট তো থাকছেই। টুর্নামেন্ট চলাকালে মাঝে বেশ কিছু টেস্ট হবে। তবে এবার যেহেতু তিনটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে, অনেকবার ট্রাভেল করতে হবে। আমরা যদি প্রতি ছয়দিন পর টেস্ট করি তবে শিডিউলে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনায় আছে ছয়দিন পর পর না করে প্রতি ট্রাভেলের পর করা। যেমন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পর টেস্ট হবে, সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পর টেস্ট হবে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। আলোচনা চলছে।’

আগামী ২১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরের। এবারের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৩৪টি।

টিআইএস/এমএইচ