ছবি : বিসিবি

গড়নে ছোটখাটো, স্বভাবে চুপচাপ। কিন্তু ব্যাট হাতে, বিশেষত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অপ্রতিরোধ্য। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের বুকে হলে মুমিনুল যেন হয়ে ওঠেন বিশেষ কেউ। রান করাকে যিনি বানিয়ে ফেলেন একদম সাদামাটা ব্যাপার। গেল বছর ওঠেছিল বাংলাদেশের টেস্ট ফরম্যাটের নেতৃত্বের ভার। 

এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার দেশের মাটিতে মাঠে নেমেছেন তিনি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামেও। দ্বিতীয় ইনিংসেই পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরির দেখা। মুমিনুল তাতে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।

তামিমকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ দশ টেস্ট সেঞ্চুরি এখন ‍মুমিনুল হকের। দেশের হয়ে তিন হাজার রান করতে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলার রেকর্ডেও তামিমের পাশে বসেছেন টেস্ট অধিনায়ক। তাদের দুজনেরই লেগেছে ৭৬ ইনিংস। 

টেস্ট ইতিহাসে এক মাঠে সবোর্চ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডেও সপ্তম স্থানে ওঠে এসেছেন মুমিনুল। এই তালিকায় সবার ওপরে শ্রীলঙ্কান মাহেলা জয়বার্ধানে। কলম্বোতে ৪২ ইনিংসে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ১১টি। চট্টগ্রামে ১৯ ইনিংসে মুমিনুলের সেঞ্চুরি সংখ্যা সাতটি।

কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে ‘ইনিংস পার হান্ড্রেড’ অর্থাৎ প্রতিটি সেঞ্চুরি পেতে গড়ে কার কত ইনিংস লেগেছে তার ভিত্তিতে টেস্ট ‍মুমিনুল উঠে এসেছেন তিন নম্বরে। তালিকার শীর্ষে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, মেলবোর্নে ১৭ ইনিংসে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৯টি। গড় ১.৮৯।

এছাড়া অ্যাডিলেডে ১৭ ইনিংসে মাইকেল ক্লার্কের সেঞ্চুরি সংখ্যা সাতটি। এই ভেন্যুতে সেঞ্চুরি করায় তার গড় ২.৪৩। মুমিনুল হক চট্টগ্রামে ১৯ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন সাত সেঞ্চুরি। তার গড় ২.৭১।

মুমিনুলের দশ সেঞ্চুরির সবগুলোই করেছেন দেশের মাটিতে। এতেও একটা রেকর্ড হয়েছে মুমিনুলের। বিদেশের মাটিতে কোনো সেঞ্চুরি করার আগেই দেশের মাটিতে এত বেশি সেঞ্চুরি টেস্ট ইতিহাসে আর কারও নেই। 

এই ‘রেকর্ডে’ মুমিনুল পেরিয়ে গেছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালান ল্যাম্বকে। ক্যারিয়ারে ১৪ সেঞ্চুরির মধ্যে প্রথম ৯টিই ল্যাম্ব করেছিলেন দেশের মাটিতে, দশম সেঞ্চুরিটি আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। 

এমএইচ/এটি