আফগান সিরিজেই গ্যালারি ভর্তি দর্শক ফেরাচ্ছে বিসিবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য সুখবরই বটে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমায় সাময়িক যে বিধিনিষেধ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার, সেটির মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই গতি ফিরছে জীবনযাপনে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও। টাইগার ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য সুখবর। আফগানিস্তান সিরিজে গ্যালারি ভর্তি সমর্থক ফেরাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ঢাকা পোস্টকে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘সরকারের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার আমাদের ফুল গ্যালারি দর্শক ফেরানোর ভাবনা আছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে না হলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হাউজ ফুল করার পরিকল্পনা আছে।
বিজ্ঞাপন
খেলাধুলার প্রাণ বলা হয় দর্শকদের। বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনা আকাশচুম্বী। টিটুর ভাষায়, সেই প্রাণ ফেরাতে নিজেদের সর্বচ্চো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি শুরু হচ্ছে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ম্যাচের জন্য টিকিট প্রিন্ট তো বটেই, বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। সাকুল্য সাড়ে ৪ হাজার মানুষ এ ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে গ্যালারিতে বসিয়ে অন্তত ১০ হাজার সমর্থকের খেলা দেখার সুযোগ করে দেবে ক্রিকেট বোর্ড। ২৮ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ম্যাচে দর্শক দিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী পূর্ণ করার পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডে। একই ভাবনা আছে ঢাকায় হতে যাওয়া দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতেও।
বিজ্ঞাপন
টিটুর ব্যাখ্যা, ‘হাতে সময় কম থাকায় এখন চাইলেই দর্শক পূর্ণ করা যাচ্ছে না। টিকিট প্রিন্টিংয়ের একটা ব্যাপার আছে। আমরা প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যত বেশি সম্ভব টিকিট ছাড়া যায়। ওয়ানডেতে না হলেও টি-টোয়েন্টিতে আমরা গ্যালারি ভর্তি করতে চাই। তবে এটা এখনো নিশ্চিত না। বুধবার আমাদের একটা বৈঠক আছে। শেষ হলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে পরিবর্তী পরিকল্পনা।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে প্রথম ওয়ানডের টিকিট। সকাল ৯টায় টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেই টিকিট বিক্রি শুরু হয় দুপুর ২টায়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় টিকিট প্রত্যাশীদের। অপ্রতুল টিকিট থাকায় অনেকেই সকাল ৬টায় টিকিটের লাইনে দাঁড়ান। তবে জনপ্রতি ২টি করে টিকিট দেওয়ার কথা থাকলেও সমর্থকদের অভিযোগ, ৫০০ টাকা মূল্যের টিকিট ছাড়া বাকি ৩ গ্যালারির টিকিট দেওয়া হচ্ছে ১টি করে। সেটিও চাহিদায় তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।
টিআইএস/এটি