ছবি : বিসিবি/রতন গোমেজ

আসলেন, দেখলেন, জয় করলেন! কাইল মেয়ার্স বিশ্ব ক্রিকেটের নায়ক বনে গেলেন রাতারাতি। অভিষেক টেস্টেই বাজিমাত। ব্যাট হাতে একাধিক রেকর্ড গড়ে ২১০ রানে হার না মানা এক ইনিংস খেলে দলকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দিয়েছেন মায়ার্স। ম্যাচ শেষে নিজের অনবদ্য ইনিংসকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে জানালেন, এটি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।

পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশ সফরে এলে হয়তো সুযোগ মিলতো না মেয়ার্সের। তবে ক্রিকেট বিধাতা যে নিজ হাতে অবিস্মরণীয় এক গল্প লিখে রেখেছিলেন। দেখে মনে হলো চিত্রনাট্যটি সাজানোই ছিল, তাতে পাক্কা অভিনেতার মতো অভিনয় করে গেলেন বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার।

চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে সবাই যেখানে বাংলাদেশ দলের জয়ের অপেক্ষার প্রহর গুণছে, তখন ব্যাট হাতে গল্পটাই বদলে দিলেন মেয়ার্স। জানিয়ে রাখলেন, ফুরিয়ে যেতে আসেননি তিনি, বাইশ গজে রাজ করতে চান লম্বা সময় ধরে। ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪০ রানের একটি ইনিংস খেলেন, বিস্ময় জমিয়ে রেখেছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য।

ঘড়ি ধরে ৪১৫ মিনিট উইকেটে কাটিয়েছেন মেয়ার্স। যেখানে ৩১০ বলে অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২০টি চার ও ৭টি ছক্কার মারে। এতেই রেকর্ড বইয়ে ঝড় তুলেছেন তিনি। অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে গত ১০ বছরে এই বাঁহাতিই উইন্ডিজের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়লেন। সঙ্গে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার দৌড়ে চতুর্থ স্থানে নাম তুলেছেন মেয়ার্স। চতুর্থ ইনিংসে সফল রান তাড়ার বিচারে মেয়ার্সের ২১০ রানের ইনিংসটি ঠাঁই পেয়েছে পঞ্চম স্থানে।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে নিজের ইনিংসটি মূল্যায়ন করতে গিয়ে মেয়ার্স বলেন, ‘আমি সবসময় ইতিবাচক থাকি এবং নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখি, আর বিশ্বাস করেছি যে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। আমরা কখনো হাল ছাড়িনি এবং লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। অধিনায়ক ও কোচ আমাদের বলেছেন, লড়াই চালিয়ে যেতে। শ্যানন (গ্যাব্রিয়েল) এই উইকেটেও দারুণ প্রচেষ্টা দেখিয়েছে। যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।’

মেয়ার্স আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট খেলাটা সত্যি অন্যরকম অনুভূতি। আর ১০০, ২০০ কিংবা ম্যাচ জেতা সেটাতো বিশেষ কিছু। আমি কোচ, অধিনায়ক, সতীর্থ ও আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি সবার প্রতি সত্যি কৃতজ্ঞ। একজন ক্রিকেটারের অভিষেক হলো এবং সে দ্বিশতক করল, এটি অবশ্যই তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে।’

টিআইএস/এমএইচ/এটি