রেফারিং বিতর্ক, সমালোচনার সঙ্গে শোকজ-জরিমানার বিষয়টি সমান্তরাল ভাবেই চলছে। সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানিকে গণমাধ্যমে রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করায় কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। 

শোকজের এক দিনের মধ্যে আর্থিক জরিমানা করেছে বাফুফে। অন্য দিকে দুই মাসে আগে গণমাধ্যমে বাফুফের সমালোচনা করায় সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানকে শোকজ পেয়েছিলেন। সেই শোকজের পরবর্তী প্রক্রিয়া ও ফলাফল এখনো বাফুফে মিডিয়ায় জানায়নি। 

সহ-সভাপতির ক্ষেত্রে যখন এই অবস্থা তখন সভাপতির রেফারিং নিয়ে মন্তব্য আমলে না আনাটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে সরাসরি রেফারিদের সিদ্ধান্ত একটি দলের পক্ষে ও আরেকটি দলের বিপক্ষে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে রেফারিরা ক্ষুব্ধও। রেফারিদের ভাবমূর্তি রক্ষায় সচেষ্ট বাফুফে এখানে অবশ্য নিশ্চুপ ভূমিকায়। 

গণমাধ্যমে বক্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কারণ দর্শানো নোটিশ দিচ্ছেন বাফুফের লিগ্যাল অফিসার অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান লাজুক। যিনি আবার বাফুফের অধিভুক্ত সংস্থারই একজন প্রতিনিধি। অনেক মন্তব্য শোকজের আওতায় আসে আবার কিছু থাকে আওতামুক্ত। এই বৈপরীত্য সম্পর্কে কিছু দিন আগে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি বলেছিলেন, ‘সংগঠনের প্রধান সভাপতি ও অফিস চালান সাধারণ সম্পাদক। তারা দু’জনই এই ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’ বাফুফের প্রশাসনিক প্রধান সাধারণ সম্পাদককে শোকজ প্রদানের নীতিমালা, ইমরুল হাসানের শোকজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে কয়েক বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে কোচিং করাতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে রেফারিং নিয়ে সমালোচনা করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এর আগে বাফুফের লিগ্যাল অফিসার জিল্লুর রহমান লাজুক সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। 

চলমান মৌসুমে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক চরমে। সাইফ স্পোর্টিংয়ের কয়েকটি ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গিয়েছে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছিলেন ক্রুসিয়ানি। তিনি জানান, গত দশ বছর আগে ঢাকা আবাহনী ও এর আগে জাতীয় দলে কোচিং করানোর সময় তিনি বাংলাদেশের রেফারিংকে এত নিম্ন অবস্থানে দেখেননি। 

এজেড/এনইউ