গেল বছর ব্যালন ডি’অর জিতে ইতিহাসই গড়ে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসি। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সাত বার জেতার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। তবে তার এই ইতিহাস গড়ার পেছনে ছিল বিতর্কের কালিমাও, এ নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। এর ঠিক পরের মৌসুম, মানে এবার নিয়ম বদলে যাচ্ছে ব্যালন ডি’অরের। ফ্রান্স ফুটবলের সম্পাদক সম্প্রতি লেকিপেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন।

গেল নভেম্বরে মেসি জিতেছিলেন সপ্তম ব্যালন ডি’অর। তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার নারী দলের অধিনায়ক অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস জিতেছিলেন নারী ব্যালন ডি’অর। তবে মেসির জয় আর রবার্ট লেভান্ডভস্কি ও মোহামেদ সালাহদের না জেতাটা অন্যায্য কি-না, এ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। 

তার ঠিক পরই এবার ফ্রান্স ফুটবলের প্রধান সম্পাদক প্যাসকেল ফেরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লেকিপেকে নিশ্চিত করেছেন, বড় পরিবর্তন আসছে ব্যালন ডি’অরের নিয়মে। বদল আসছে কমপক্ষে একাধিক। 

পরের বার থেকে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হবে ইউরোপীয় ফুটবল মৌসুমের হিসেবে। এর আগ পর্যন্ত নিয়মটা ছিল পঞ্জিকাবর্ষের হিসেবে। চলতি বছরের পুরস্কারটা দেওয়া হবে ২০২১-২২ মৌসুমের হিসেবে, যা শেষ হবে ২০২২ উয়েফা নারী ইউরোর ফাইনালের পর। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ২০২২ বিশ্বকাপের পারফর্ম্যান্সটা এবার ধর্তব্যে আনা হবে না। সেটা বিবেচনায় থাকবে পরের বছরের ব্যালন ডি’অরের সময়।

এরপরের নিয়মের পরিবর্তনের ফলে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন এই পুরস্কারে। বাংলাদেশ বর্তমানে আছে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ এর বাইরে, শিগগিরই সেখানে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। যার ফলে এই ভোট দেওয়ার যোগ্যতা হারাবে বাংলাদেশ।  

শেষ পরিবর্তনটা হচ্ছে, এরপর থেকে ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সই বিবেচ্য হবে না। খেলোয়াড়ের পারফর্ম্যান্সের সঙ্গে বিবেচনায় আসবে খেলোয়াড়ের দলগত পারফর্ম্যান্স, খেলোয়াড়টির মান ও ফেয়ারপ্লে। সঙ্গে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, খেলোয়াড়ের অতীতের সব রেকর্ড, ভালো-খারাপ পরিচিতি, অর্জন ইত্যাদি বিষয় ধর্তব্যে আনা হবে না এখানে। 

এনইউ