ভিএআর নিয়ে বাফুফে সভাপতি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন।

ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আকস্মিকভাবে আজ (বুধবার) বাফুফের রেফারিজ কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। কমিটি ভাঙার ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নিয়েও মন্তব্য করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘ফিফার সঙ্গে আমরা ভিএআর নিয়ে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আমাদের ভিএআরের ব্যাপারে সাহায্য করবে।’

ভিএআর অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি। ফুটবলে উন্নত এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল দেশের ঘরোয়া লিগে ভিএআর প্রযুক্তি চালু করেনি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ভিএআর করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান বাফুফে সভাপতি, ‘আমার জানা মতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে ভিএআর এখনো ব্যবহার হয়নি। হয়তো আমরাই এক্ষেত্রে প্রথম হব।’ 

ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায়, তর্কের উর্ধ্বে থাকে না রেফারিং। বিষটি স্বীকার করে নিলেন বাফুফে সভাপতিও, ‘ভিএআর নেওয়ার পরেও অনেকের প্রশ্ন থাকবে এবং করবেও। তবে তখন অভিযোগের মাত্রাটা খুব কমে আসবে। ভিএআর ব্যবহার করলে প্রায় ৯৫ শতাংশ সিদ্ধান্ত সঠিক হিসেবে সবাই মানতে বাধ্য হবে।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণ অর্থ, প্রাইজমানি বকেয়া থাকে অনেক ক্ষেত্রে। সেই অবস্থান থেকে ভিএআরের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা কতটুকু সম্ভব এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতির উত্তর, ‘অর্থ, জনবল এসব বিষয় নিয়ে এখন আমরা ফিফার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব। সব কিছু আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই ভিএআরে যাব। কবে নাগাদ ভিএআর শুরু করতে পারব এটা এখনই বলতে পারব না। ’

উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক , লিগ কমিটির ম্যানেজার, রেফারিজ বিভাগের প্রধান সহ আরও কয়েকজন ফিফার ট্যাকনিক্যাল ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ভিএআর নিয়ে প্রস্তুতিমূলক এক সভা করেছে। 

এজেড/এমএইচ