সেরার মুকুট জিতে বড় ক্লাবগুলোর নজরে দুই অধিনায়ক
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা নীলফামারী অধিনায়ক নাইম ইসলাম (বাঁয়ে), ও সেরা খেলোয়াড় বেনাপোল অধিনায়ক সাইদুর রহমান রাহুল/বাফুফে
ক্রিকেটে অধিনায়ক যতটা আলোচনায় থাকেন ফুটবলে ততটা নয়। এবার স্কুল ফুটবলের ফাইনালে দুই অধিনায়কই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। বেনাপোলের সাইদুর রহমান রাহুল ও নীলফামারীর নাইম ইসলাম দুই জনই দারুণ কুশলী ফুটবলার এবং দলের প্রাণভোমরা। দুই দলের কোচই এই দুই অধিনায়কের উপর নির্ভরশীল ছিলেন।
আজ ফাইনালের একমাত্র জয়সূচক গোলটি নীলফামারীর অধিনায়ক নাইম ইসলামের। এই গোলের মাধ্যমে জাতীয় স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুলের এই ফুটবলার। নিজে ফাইনালে গোল করেছেন, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং দলও চ্যাম্পিয়ন। সামনে থেকে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা আর বলতে! তাই নিজেদের ট্রফিগুলো নিয়ে খুব খুশি এই ফুটবলার, ‘খুবই খুশি লাগছে। নিজে স্বীকৃতি পেয়েছি এবং দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’ স্কুল ফুটবলার হলেও এখনই পেশাদার ফুটবলে নজর তার, ‘আমি দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলোতে সামনে খেলতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিনায়ক সাইদুর রহমান রাহুল। সারা টুর্নামেন্টের মতো আজ ফাইনালেও অসাধারণ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করা এবং করানোর জন্য সকল কাজই তিনি করেছেন। কিন্তু কাঙ্খিত গোলটা পাননি।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারলেও নিজে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। দল পরাজিত হওয়ায় নিজের ট্রফি অনেকটা মূল্যহীন তার কাছে, ‘এত দারুণ খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারলাম না। এর চেয়ে কষ্ট আর নেই।’ কান্না জড়ানো কণ্ঠে আর বেশি কিছু বলতে পারলেন না মাঠ দাঁপানো এই ফুটবলার।
বিজ্ঞাপন
ফাইনালে খেলা অন্য সব ফুটবলারের মধ্যে দুই দলের দুই অধিনায়ককে আলাদা করা যায় সহজেই। দুই জনই দুই ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছেন। দুই ফুটবলারের উপর প্রিমিয়ার লিগের অনেক ক্লাবের নজরে পড়েছে। ইতোমধ্যে যোগাযোগও শুরু করেছে কিছু ক্লাব।
এজেড/এনইউ